বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
ঢাকা: ‘বিএনপি জামায়াত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। দুর্নীতিবাজ ও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতেই দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্য উৎপাদনকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র করছে।’
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ধানমণ্ডির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বিএনপি জামায়াতের শাসনামল স্মরণ করে দিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘আপনারা তাদের শাসনামল দেখছেন। জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে দেশে কী অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তাদের আচরণ হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করা যায়। আজও তারা অন্ধকারের দিনগুলোতে দেশকে পুনরায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।’
দিপু মনি বলেন, ‘আমরা এবং দেশবাসী কখনো দেখনি তার কোনো নেতাকর্মীকে হেঁটে আন্দোলনে যেতে। আসলে তিনি যত কর্মসূচি পালন করেছেন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া গতকাল (রোববার) রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যে অসভ্য, অশোভন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য রেখেছেন তাতে গোটা জাতির সাথে আমরাও স্তম্ভিত। আমরা মনে করি গণতন্ত্র ও তার অনুশীলনকারী কোনো রাজনৈতিক দল বা নেত্রীর পক্ষে এহেন বক্তব্য একান্তই বেমানান। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
খালেদা জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে দীপু মণি বলেন, ‘আপনাকে জিজ্ঞোসা করতে চাই, জাতি কি এ বক্তব্য পছন্দ করেছে? নিশ্চই নয়। এ ধরনের বক্তব্য রেখে আবারো প্রমাণ করলেন তিনি পাকিস্তানের দোসর। এটা তার পাকিস্তানের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
খালেদা জিয়াকে সংযত ও সহনশীল বক্তব্য রাখার আহ্বান করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলুন। হিংসাশ্রয়ী, অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কলুষিত করবে না।’
তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া ১১টায় কর্মসূচি দেন, ৩টায় বাসায় থেকে বের হতে চান। এতে বুঝা যায় এগুলো তার সাজানো নাটক এবং ফটোসেশন ছাড়া আর কিছুই নয়।’
রোববার বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তা অসত্য কল্পিত, বানায়োট। তিনি নিজের কৃতর্কম অপরের ঘাটে চাপানোর নির্লজ্জ প্রয়াস চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই দিন তিনি প্রত্যুষে কালো কাচের গাড়িতে করে বাসা ছেড়ে কোন অজ্ঞাতবাসে গিয়েছিলেন? জাতি জানতে চায়।’নির্বাচন উপলক্ষে সেনাবাহিনী নামানোর বিরুদ্ধে বিরোধী দলের নানা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত সেনাবহিনীকে বিতর্কিত করতে চায়। তারা সব সময় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে চায়। বিএনপিরই দাবি ছিল নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস ছোবান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীম, তথ্য গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’