রোববারের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১৮ দল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: ফখরুল
ঢাকা: ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১৮ দল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এমন দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য অচলাবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।”
প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোববারের অভিযাত্রার কর্মসূচির অনুমতি না পাওয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভিডিও বার্তার পর শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচালে সরকারি ঘোষণা ও বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ১৮ দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এটাই বাস্তবতা।”
ফখরুলের বিবৃতির আগে বিকেলে খালেদা জিয়া এক ভিডিওবার্তায় নেতাকর্মীদের সব বাধা পেরিয়ে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সফল করার আহ্বান জানান।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, “শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের কতিপয় সদস্য ও আওয়ামী নেতারা কর্মসূচিটিকে বন্ধ করার জন্য যেভাবে ধমকের সুরে কথা বলছেন তাতে তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ দাম্ভিকতা, সীমাহীন আস্ফালন, অগণতান্ত্রিক আচরণ জাতিকে এক চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
ফখরুলের অভিযোগ, “রাষ্ট্রীয় প্রশাসনকে যথেচ্ছা ব্যবহারের মাধ্যমে যৌথ বাহিনী দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে বিরোধী দল নিধনে সাঁড়াশি অভিযানের নামে বিরোধী নেতা-কর্মী ছাড়াও তাদের পরিবার-পরিজনকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের এ ধরনের হিংসাশ্রয়ী আচরণে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, গণতন্ত্র নামক শব্দটিকে তারা ইতোমধ্যেই কবর দিয়ে দিয়েছেন। ঢাকায়‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ যেকোনো উপায়ে বন্ধ করতে সরকারের একগুঁয়েমিতা এবং গণতন্ত্র হরণের নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ।”
বিবৃতিতে নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমার নির্দেশ বাতিলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে দেশের জনগণকে এক ভীতিকর অবস্থায় নিক্ষেপ করা হয়েছে।”
এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচি মিজানুর রহমান মিনুসহ বিএনপি ও ১৮ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।