বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে চলছে হরতাল
ঢাকা: বিচ্ছিন্নভাবে ঝটিকা মিছিল ও যানবাহনে আগুন দেয়ার মধ্যদিয়ে চলছে জামায়াতের হরতাল। হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসময় মিছিল থেকে যানবাহনে ভাঙচুরের চেষ্টা ও আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালিয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল ৭টায় যাত্রাবাড়িতে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে ছাত্রশিবির। পঁচিশ থেকে ত্রিশ জনের এ মিছিল থেকে একটি সিএনজিতে আগুন ধরিয়ে দেয় পিকেটাররা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ধাওয়া করে পিকেটারদের। পরে স্থানীয়দের সহয়তায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার আগুন নেভানো হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
একই সময় ডেমরা মৃধাবাড়ি এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল ৮টার দিকে মাটারটেক এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এসময় মিছিল থেকে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলের শব্দে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ৪ জনকে আটক করে সবুজবাগ থানায় নিয়ে যায়।
সবুজবাগ থানার ওসি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই সময় শ্যামপুরে আরচিন গেট এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এসময় মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। জবাবে মিছিলকারীরাও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। পরে পুলিশ ধাওয়া করে কয়েকজনকে আটক করে।
শ্যামপুর থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, সকালে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ ফাঁকা রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করলে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়। ধাওয়া করে মাইনুল হাসান হিরা, মাহবুব আলম, ফরিদ হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন নামে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।