আমার আসলে গান শেখা হয়নি : মং
সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথম `বাংলাদেশি আইডল` নির্বাচিত হয়েছেন বান্দরবানের ছেলে মং উচিং মারমা। শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্র্যান্ড ফিনালেতে মংকে বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়। বাংলানিউজের পাঠকের জন্য তিনি তার এ সফলতা ও আগামী ভাবনা নিয়ে ফোনে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তা এখানে তুলে ধরা হলো…
প্রথম `বাংলাদেশি আইডল` নির্বাচিত হবার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। কেমন আছেন, এখন কি করছেন?
আপনাকে ধন্যবাদ। বিজয় দিবসের জন্য এস এ টিভির একটি অনুষ্ঠানে দলীয় পারফরমেন্স হবে। সেখানে রেকর্ডিং এর কাজে ব্যস্ত আছি।
আপনি তো বান্দরবান থেকে এ প্রতিযোগিতায় এসেছেন, বাংলা গান চর্চা বা শেখার জায়গাটা নিয়ে যদি কিছু বলতেন?
আমার আসলে সেভাবে কোন গান শেখা হয়নি। গান শুনতাম প্রচুর। আর গান শুনা থেকে গান করার চেষ্টা। এভাবেই শুরু।
বান্দরবানের সাংস্কৃতিক সংগঠন মারমা শিল্পীগোষ্ঠীর ‘চিম্বুক’ নামে একটি গানের দল রয়েছে। সেখানে আপনি যোগ দিয়েছিলেন…
২০০৮-০৯ এর দিকে আমি সেখানে যোগ দিয়েছিলাম। সেখানে চৌইথি দ্রু নামে একজনের কাছ থেকে আমার গান করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তার সাথেই প্রথম গানের পথ চলা শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশি আইডলের অডিশন এবং এতদূর আসা।
ফাইনালে এস এ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ ঘোষণা দেন যে, বান্দরবনের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইডলের জন্য ৬ লাখ টাকা প্রদান করেছেন, এই টাকা কি আপনার আইডল হবার পেছনের কোন কারণ হিসেবে থাকছে কি-না?
না। একদমই বিষয়টি সেরকম কিছু না। সত্যি বলতে তিনি অনেক সংগীতমনা একজন মানুষ। আর তিনি জানতেন না কে হবেন বাংলাদেশি আইডল। যে বিজয়ী হতেন, সে এই টাকার দাবীদার হত। সৌভাগ্যক্রমে আমি হয়েছি।
আর আইডলে প্রথম বা দ্বিতীয় হবার জন্য কে কেমন ভোট পেয়েছে- সে বিষয়ে জানতে চাই?
এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। আর আমার জানামতে, বাংলাদেশি আইডলের নিয়মটা একটু আলাদা।
এই সফলতার পর সামনের পথ চলা নিয়ে জানতে চাই?
বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে চাই। আর আমার স্বপ্নের পথে সবে পথ চলা শুরু করছি। তাই বলতে চাই স্বপ্ন পূরণে এখনো অনেকটা পথ বাকি।