এখনও বহাল নিম্নতম মজুরির পুরাতন গেজেট!
ঢাকা: তৈরি পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নির্ধারিত হয়েছে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। এ বিষয়ে গেজেটও প্রকাশ করেছে সরকার। কিন্তু গেজেট প্রকাশের পর সপ্তাহ পার হলেও শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে এখনও বহাল তবিয়তে ঝুলছে নিম্নতম মজুরির পুরাতন গেজেটটি। যেখানে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ধরা আছে তিন হাজার টাকা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানের ধারক ও বাহক সরকারের সময়ে পিছিয়ে থাকার এমন ঘটনায় সমালোচনা করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকাশিত নতুন গেজেটটি শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে, এমনটি আশা করলেও খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় পুরাতন গেজেটটিই বহাল আছে এখনও। যোগ করা হয়নি সদ্য প্রকাশিত নতুন গেজেট।
বৃহস্পতিবার সকালেও শ্রম মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে ঢুকে দেখা যায়, সেখানে ২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত নিম্নতম মজুরির গেজেটটি ঝুলছে।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার। তার দাবি, ওয়েব সাইটে নিম্নতম মজুরির গেজেটটি আপডেট করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৈরি পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা রেখেই শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে গত ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নতুন গেজেট প্রকাশ করা হয়। পোশাকশিল্পের শ্রমিক ও কর্মচারীর জন্য ‘নিম্নতম মজুরি বোর্ডের’ সুপারিশ অনুযায়ী এটি প্রকাশিত হয়।
গেজেট অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর থেকে এই নতুন মজুরিকাঠামো কার্যকর হবে। শ্রমিক ও কর্মচারীরা মূল মজুরির ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রণোদনা পাবেন।
পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম (গ্রেড নম্বর ৭) মজুরি হবে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। এর মধ্যে মূল মজুরি তিন হাজার টাকা, বাড়িভাড়া এক হাজার ২০০, চিকিৎসা ২৫০, যাতায়াত ২০০ ও খাদ্য ভাতা ৬৫০ টাকা। এ ছাড়া ৬ নম্বর গ্রেডের শ্রমিকদের মোট মজুরি হবে পাঁচ হাজার ছয়শ’ ৭৮ টাকা, ৫ নম্বর গ্রেডে ছয় হাজার ৪২, ৪ নম্বর গ্রেডে ছয় হাজার চারশ’ ২০, ৩ নম্বর গ্রেডে ছয় হাজার আটশ’ ৫, ২ নম্বর গ্রেডে ১০ হাজার নয়শ’ এবং ১ নম্বর গ্রেডে ১৩ হাজার টাকা। তবে শিক্ষানবিশ শ্রমিকরা পাবেন চার হাজার ১৮০ টাকা।
অন্যদিকে কর্মচারীদের সর্বনিম্ন (গ্রেড নম্বর ৪) মোট মজুরি হবে পাঁচ হাজার ছয়শ’ ৫০ টাকা, ৩ নম্বর গ্রেডে সাত হাজার চারশ’, ২ নম্বর গ্রেডে আট হাজার একশ’ ও ১ নম্বর গ্রেডে ১০ হাজার দুইশ’ টাকা। তবে শিক্ষানবিশ কর্মচারীরা পাবেন চার হাজার তিনশ’২০ টাকা।