আ.লীগ নেতাদের বাড়িঘরে হামলা অগ্নিসংযোগ
ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফাঁসি কার্যকর করার খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ভাঙচুর করা হয়।
এর মধ্যে গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন
দিনাজপুর: জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের খবরে রাতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত শিবির।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় চিরিরবন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবু হান্নান ছোটন, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান, সাজ্জাদ ও ছাদোর রানীবন্দরের বাড়িঘরে হামলা করে। পরে তারা ভাঙচুর করার এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী বাংলামেইলকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিজিবিসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
গাইবান্ধা: রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে পলাশবাড়িতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। তারা সংসদ সদস্যসহ (এমপি) আওয়ামী লীগ নেতাদের ৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, বিক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাতে গাইবান্ধা-৩ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জাল হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোকসেদ চৌধুরীর বাড়িসহ অন্তত ৫ নেতার বাড়িতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর করে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে রাখা একটি কার ও একটি জিপগাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে তারা পলাশবাড়ি বন্দরে অবস্থিত অন্তত ৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
ঘটনাস্থলে বিজিবি, র্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।