১৩ ডিসেম্বর জাবিতে প্রজাপতি মেলা
জাবি: ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ১৩ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘প্রজাপতি মেলা-২০১৩’।
জীব-বৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন তুহিন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করেছেন ‘প্রজাপতি মেলা’।
বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো ২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই প্রাণীবিজ্ঞানী ‘প্রজাপতি মেলা’ আয়োজন করে প্রজাপতির প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
প্রজাপতি মেলায় জাল দিয়ে ঘিরে প্রদর্শনী স্টল তৈরি করা হয়। ফুলের ওপর খেলা করে সাত রঙের প্রজাপতি। ফুলে ফুলে উড়ে উড়ে তারা মধুপাণ করে। লাল, নীল, হলুদ, বেগুনীসহ নানা রঙের প্রজাপতির রঙিন পাখা মেলে ওড়াউড়ি রং ছড়ায় আকাশে। রঙের জাদুতে মোহিত হয় দর্শনার্থীরা।
এছাড়াও শিশু-কিশোরদের প্রকৃতি ও প্রজাপতি প্রেমী করে তুলতে প্রজাপতি নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি দেখা, প্রজাপতির ছবি প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি বিষয়ক বারোয়ারী বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন করা হয়এই প্রজাপতি মেলায়।
এ ব্যাপারে প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবার ও ক্যাম্পাসে এই প্রজাপতি মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রাণী বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩০০ জাতের প্রজাপতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শনাক্ত করা হয়েছে ১০২টি। সর্বশেষ ২০১০ সালে আরো চারটি নতুন প্রজাপতি শনাক্ত করেন ড. মনোয়ার।
এ চারটি নতুন প্রজাতি হল ব্যামেবা ট্রি ব্রাউন, চেসনাট অ্যাঙ্গল, ব্লু-প্যানসি এবং টিনি গ্যাস বব্লু। এছাড়া ‘গাউডি ব্যারণ’ ও ‘কমন ভেলবেট বব’সহ আরো কয়েকটি প্রজাতির প্রজাপতি বাংলাদেশের শুধুমাত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া যায়