বিএনপির সুরে কাজী জাফরের ৫ দফা দাবি
ঢাকা: বিরোধীদল বিএনপির সুরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবি দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা কাজী জাফর আহমদ।
রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসায় শনিবার দুপুর ১২টায় চলমান রাজনীতি ও জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি জানান কাজী জাফর। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন কাজী জাফর আহমেদ। সেই বৈঠক শেষে তিনি ১৮ দলীয় জোটের চলমান আন্দোলনে সম্পূর্ণ একাত্মতা জানিয়ে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘোষণাও দেন।সংবাদ সম্মেলনে কাজী জাফর বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য আমরা পাঁচ দফা দাবি দিয়েছি। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় সরকার গঠনের জন্য জাতীয় সংলাপ শুরু করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’ সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে জাফর বলেন, ‘মওদুদ, এমকে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম, হান্নান শাহ, খোকা, রিজভীকে মুক্তি দিয়ে সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’ নাম উল্লেখ না করে দলীয় অফিস (বিএনপি) সম্মুখ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদসদের প্রত্যাহারের দাবি জানান জাফর। তিনি সভা, সেমিনার, মিছিলে পুলিশের হামলা বন্ধের দাবি তোলেন। তথ্য-প্রযুক্তি আইন বাতিলে দাবি জানিয়ে কাজী জাফর বলেন, ‘আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’ গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার আহ্বানও জানান কাজী জাফর।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন কাজী জাফর। তিনি বলেন, ‘এরশাদ সাহেব এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রোধের সঙ্গে বলেছিলেন হু ইজ কাজী জাফর। আমিও এরশাদ সাহেবের চেয়ে উচ্চস্বরে বলি, হু ইজ এরশাদ। আমরা বহু সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন না করলে তিনি (এরশাদ) আর্মি চিফ হতে পারতেন না। রাষ্ট্রপতিও হতে পারতেন না।’‘১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি যেদিন জাতীয় পার্টির জন্ম হয়, তখন এরশাদ ছিলেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।’- বলেন কাজী জাফর।এরশাদ প্রসঙ্গে জাফর আরো বলেন, ‘তিনি (এরশাদ) আত্মহত্যার কথা বলেছেন, একজন রাজনীতিক হিসেবে তার একথা উচ্চারণ কাপুরুষের মতো শোনায়।’