গাড়ি ভাঙচুর ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৯
ঢাকা: তৃতীয় দফায় ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথমদিন শনিবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থানে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ জনকে আটক করা হয়।
সকাল ৭টার দিকে রামপুরা কাচাবাজার এলাকায় অবরোধের সমর্থনে একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। এসময় দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।রামপুরা থানার ওসি কৃপাসিন্ধু বালা জানান, ককটেল বিস্ফোরণের পর পুলিশ সেখানে গিয়ে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে । এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। গাড়ি ভাঙচুরের কথা তিনি অস্বীকার করেন।একই সময়ে রামপুরা থানার বনশ্রী এ ব্লক থেকে মিছিলের চেষ্টাকালে ৪ জনকে আটক করা হয় বলে জানান তিনি। আটককৃতরা হলেন আতাউর রহমান (৪১), মো. তোফাজ্জল হোসেন ৫২), মো. ফজলুল হক (৬৬) ও জিএম দবিরউদ্দিন (৪৬)।গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ৪টি ককটেলসহ রাসেল হোসেন (২৭) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ ।দারুসালাম থানার ডিউটি অফিসার জানান, বিস্ফোরণের প্রস্তুতিকালে ৪টি ককটেলসহ আটক করা হয় রাসেলকে। তাকে দারুসসালাম থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।তেজগাঁওয়ে রেললাইনে আগুন দিয়ে অবরোধের চেষ্টা করা হলে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের ধাওয়া দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এসময় কেউ আটক হয়নি।সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ভাষানটেক মোড়ে অবরোধকারীরা যাত্রীবাহী বাসসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ভাষানটেক থানার এসআই হামিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।খিলগাঁওয়ের সিপাইবাগে সকাল ৭টার দিকে শিবিরের ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়। এসময় মিছিলকারীরা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ করে । ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তারা দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।মগবাজারের নয়াটোলায় সাড়ে ৬টার দিকে একটি ঝটিকা মিছিল বের হয় । এসময় রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়।সকাল ১০টার দিকে শাহজাজাহানপুরে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের পাশের গলি থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে ৩/৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসময় দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় সায়েদাবাদে সকাল পৌনে ৮টার দিকে কয়েকজন শিবির কর্মী জড়ো হয়ে মিছিলের চেষ্টা করে। এসময় পলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’জন শিবির কর্মীকে আটক করে। বাংলামেইলকে এ খবর নিশ্চিত করেন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। নয়াবাজার এলাকায় ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কয়েকজন যু্বক গলি থেকে বের হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ৩টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এসময় ৩/৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বংশাল থানার এসআই আবদুল মালেক জানান, ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরই মধ্যে দুষ্কৃতকারীরা দ্রুত ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
সকাল ৮টার দিকে ইসলামপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে একটি পিকআপ ভ্যান ও দু’টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। এসময় পুলিশ মিছিলকারীদরে ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ শিবির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছেড়ে। এ ঘটনায় এলাকার ব্যসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কোতোয়ালী থানার ওসি শাহ আলম বাংলামেইলকে বলেন, ‘মিছিল শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করা হয়।’
তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড় এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টায় ছাত্রদলের ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইলিয়াস হোসেন বাংলামেইলকে বলেন, ‘কে বা কারা আড়াল থেকে ৩টি ককটেল ফাটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।’
সকাল ১০টার দিকে মালিবাগ চৌধুরীরপাড়ায় ছাত্রদল কর্মীরা ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।