বাসে ককটেল, দগ্ধ ঘুমন্ত হেলপার
ঢাকা: রাজধানীর সায়েদাবাদের জনপথ মোড়ে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেলে আগুন লেগে মারাত্নক দগ্ধ হয়েছেন বাসের হেলপার।সকাল ৯টার দিকে ইশরাত পরিবহনের (চট্ট মেট্রো-ব ১১-০৩৩৯) একটি বাসে দুর্বৃত্তরা ককটেল ছুড়ে মারলে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ হেলপারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম হাসান (১৬)।ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল জানান, হাসানকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।এর আগে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুপকপদ সরকার জানিয়েছিলেন, হাসানের শরীরের ৯০ শতাংশ ঝলসে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে জনপথ মোড়ে ফ্লাইওভারের নিচে ইশরাত পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়েছিল। বাসটির ভিতরে হাসান ঘুমাচ্ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে বাসটি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা ককটেল ছুড়ে মারলে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। ঘুমন্ত অবস্থায় সে আগুনে দগ্ধ হন হাসান।হাসানের বাড়ি চট্টগ্রামের আজম রোডে। গত এক বছর যাবৎ তিনি ইশরাত পরিবহনে হেলপারের কাজ করছিলেন। হাসানের বাবার নাম নাজিম। তবে নাজিম জীবিত না মৃত তা জানা যায়নি। হাসানের মায়ের নাম হাসিনা বেগম। এক ভাই এক বোনের মধ্যে হাসান বড়। তার বোনের নাম নাসরিন।তবে ভিন্ন কথা বলছেন বাস মালিক সালাউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, গতকালই তাকে ২শ টাকা দিয়ে কাজে নেন বাস চালক লিটন। আগুনে বাসটির ভিতরের প্রায় সম্পূর্ণ অংশই পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়।নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের দাবিতে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। দ্বিতীয় দফা অবরোধের ষষ্ঠ দিন আজ।গত ২৮ নভেম্বর অবরোধ চলাকালে রাজধানীর শাহবাগে একটি বাসে পেট্রোলবোমা মেরে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৯ যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে এ পর্যন্ত তিন জন মারা গেছেন।