শিক্ষক সমিতির সভাপতির বাসায় বোমা হামলা
জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদারকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমুকি দেওয়ার পর এবার তার বাসা লক্ষ্য করে দু’টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
বোমা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঘটনা তদন্ত করে দোষিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তার বাসার জানালার কাচ ও ফ্রেম ভেঙ্গে যায় এবং পর্দার কাপড় পুড়ে যায়। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন শিক্ষক সমিতি, শিক্ষক মঞ্চ, বঙ্গবন্ধু আদর্শে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, আন্দোলনরত ঐক্য ফোরাম, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে ক্ষুদে বার্তার (এসএমএ) মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেয় অজ্ঞাতরা। ক্ষুদে বার্তায় বলা হয় ‘তোকে সাবধান করার পরেও এখনো আন্দোলন প্রত্যাহার করলি না। এবার মৃত্যুর জন্য শেষ প্রস্তুতি নে। তোরে কোপানোর জন্য রামদা রেডি’। এছাড়াও গত ৮ নভেম্বর তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের বাসায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটল।’
অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদারের বাসায় বোমা হামলার ঘটনাটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা দ্রুত উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবি জানান এবং তার পদত্যাগের দাবিতে আরও কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আন্দোলনরত ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক কামরুল আহসান বাংলামেইলকে বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির সভাপতির বাসায় বোমা হামলার ঘটনা নাশকতার একটি অংশ এবং উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন একটি মহল দিয়ে এই ক্যাম্পাসে একর পর এক নাশকতা সৃষ্টি করছেন।
এসময় তিনি দ্রুত উপাচার্য অধ্যাপক অনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবি জানান। নইলে তার বিরুদ্ধে অচিরেই আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগেও ৮ই অক্টোবর ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের নেতা কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর হামলা চালায়, সে হামলায় ১১ জন শিক্ষক আহত হন।