সহিংসতায় আ.লীগই জড়িত
ঢাকা: বিরোধী ১৮ দলের ডাকা হরতাল-অবরোধের সারা দেশে সহিংসতা ও নাশকতার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিগত নানা নাশকতার উদাহরণ টেনে তিনি দাবি করেছেন, নৃশংস এসব প্রাণসংহার ও ধ্বংসযজ্ঞের মূল হোতা আওয়ামী সন্ত্রাসীরাই।
সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া। চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিটি রাত ৮টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে অন্তর্ঘাত, সন্ত্রাস ও নাশকতার ঘটনা নিরোধে ব্যর্থ সরকার ঘটনাস্থল থেকে অপরাধীদের আটক করতে না পারলেও বিনা তথ্য-প্রমাণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৮ দলের শীর্ষ প্রায় সব নেতাকে হুকুমের আসামি করে মামলা করেছে। অনেকে আটক হয়েছেন। অনেকে আত্মগোপন করে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মিথ্যা অভিযোগে মামলা হচ্ছে, অপর দিকে এক মন্ত্রী বলেছেন, সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে ফেললে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। এসব থেকে পরিষ্কার হয়, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার, আন্দোলন দমন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জনমতকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যেই সুপরিকল্পিতভাবে সারাদেশে নৃশংস তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সরকার এসবের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নিকটত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিমের জবানবন্দি থেকে দেশবাসী জেনেছেন যে, দলীয় সভানেত্রীর জ্ঞাতসারেই তার দলের যুবনেতারা যাত্রীবাহী বাসে গান পাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারার পৈশাচিক কার্যকলাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের জবানবন্দি থেকে দেশবাসী আরো জেনেছেন, গার্মেন্টস শিল্পে পরিকল্পিত নাশকতার সঙ্গেও তারাই জড়িত ছিলেন। সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত ওই সব নেতা নানাভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন। তাদের কেউ কেউ মন্ত্রিসভায় ছিলে