প্রশাসনের ব্যর্থতায় পোশাক শিল্পে নাশকতা
ঢাকা: দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের অন্যান্য শাখার ব্যর্থতার কারণেই পোশাক শিল্পে নাশকতা থামছে না বলে দাবি করে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
শনিবার বেলা ৩টায় বিজিএমইএ ভবনে গাজীপুরের স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ’র নেতারা।
বিজিএমইএ’র নেতারা বলেন, কারখানায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও অনেক কারখানায় দুর্বিত্তরা অগ্নিসংযোগ করে। কিন্তু কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। আর এসব ঘটনার নেপথ্যে কারা তা খুঁজে বের করে প্রকাশ করা হয়নি। তাহলে আজ আর কোনো কারখানায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটত না।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমসইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প শ্রীলংকার মতো হতে আর বেশি সময় লাগবে না।
এসব নাশকতার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করেত হবে। বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। তাহলে এসব সমস্যার সমাধান হবে।
অন্যদিকে গার্মেন্টস কারখানার জন্য পৃথক আইনের প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দন বলেন, প্রশাসনের উচিত পোশাক শিল্পে নিরাপত্তা বিধান করা। কারা এসব নাশকতা করছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। অতীতের ঘটনায় বিচার করা হলে নাশকতা সৃষ্টিকারীরা আর এ ধরনের ঘটনা সৃষ্টির সুযোগ ও সাহস পেত না।
স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার প্রতিষ্ঠান দেওলিয়া হয়ে গেছে। আমার শুধু একটাই দাবি এই কারখানায় অগ্নিসংযোগ কারা করল, কারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলো যে একজন শ্রমিক মারা গেছে, কারাইবা বালুর মাঠে প্রতিদিন বৈঠক করে? এদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হোক। নয়তো আমার অনেক ভাই হয়তো নিঃস্ব হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজীম, সাবেক সভাপতি সালাম মোর্শেদীসহ বিজিএমইএ এর পরিচালকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একজন শ্রমিক নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কারখানায় অগ্নি সংযোগ করা হয়। এতে ১০ তলা বিল্ডিং পুরেপুরি পুড়ে যায়। ক্ষতি হয় ১২০০ কোটি টাকা।