লাটে উঠেছে মুরগীর ব্যবসা
ঢাকা: বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির কারণে সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে মুরগীশূন্য হয়ে পড়েছে কাপ্তান বাজারের আড়ত। অবরোধের প্রথম দিন গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বেচাকেনা মোটামুটি চললেও বুধবার ‘লাটে’ উঠেছে ব্যবসা।
প্রতি রাতে রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকে করে মুরগী আনা হয় এই বাজারে। কিন্তু অবরোধের কারণে মঙ্গলবার রাতে মুরগী আনতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। বুধবার রাতেও আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকভাবেই বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ।
যেখানে প্রতি রাতে ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক মুরগী আসে মঙ্গলবার রাতে সেখানে এসেছে মাত্র ২টি মিনি ট্রাক । হরতাল-অবরোধে ঝুঁকি নিয়ে মাল আনতে ব্যবসায়ীদের গুণতে হয় দ্বিগুণ ভাড়া। কখনো বাড়তি ভাড়া দিয়েও মিলছে না গাড়ি।
বগুড়া থেকে এক ট্রাক মুরগী আনতে সাধারণত ভাড়া দিতে হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু অবরোধের কারণে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিতে চাইলেও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান আড়তদাররা।
বগুড়া থেকে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় আসা ট্রাক চালক রতন বাংলমেইলকে বলেন, ‘অবরোধের সময় রাস্তায় পাইলে গাড়ি ভাঙচুর করে, আগুন লাগায় দেয়। এই জন্য কেউ আসতে চায় না। আসলেও ভাড়া বেশি নেয়।’
বগুড়া থেকে আসার পথে অবরোধকারীদের কবলে পড়া রতন আরো বলেন, ‘দুপচাচিয়া পর্যন্ত আসার পর কয়েক জন আমাদের গাড়ি থামায়া গ্লাস ভাঙচে। আরো ক্ষতি করতো। কিন্তু আমরা চা-নাস্তা করার জন্যে তাগো টাকা দিয়া গাড়ি ছাড়াইছি।’
ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, ‘দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার মুরগী আনি আমরা। কিন্তু গত রাতে কোনও মুরগী আসে নাই। আজকেও আসবে না।’ মুরগীর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারে মুরগীই নাই। দাম বাড়বো কীসের?’
উল্লেখ্য, বুধবার কাপ্তান বাজারে দেশি ও লালা পাকিস্তানি প্রতিটা মুরগীর দাম ছিল আকারভেদে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা।