রাজশাহীতে বিএনপির ৩ নেতা গুলিবিদ্ধ
রাজশাহী: নগরীতে সড়ক অবরোধের সময় পুলিশের সঙ্গে ১৮দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মইনুল হোসেন চৌধুরী শান্তসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এছাড়াও ওই ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাতটার দিকে নগরীর সোনাদিঘী মোড়ে ১৮দলের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। এসময় পুলিশ উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সড়ক অবরোধকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আর পুলিশ এসময় অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে
এসময় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মইনুল হোসেন চৌধুরী শান্ত গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়াও আরো ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতাবস্থায় শফিকুল হক মিলনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে
মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম জুয়েল বাংলামেইলকে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন ও মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মইনুল হোসেন চৌধুরী শান্ত ছাড়া অন্য আহতদের নাম জানাতে পারেননি
এদিকে একই সময় রাজশাহী কলেজের সামনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনুর নেতৃত্বে সড়ক অবরোধের সময় পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এতে ঈশা নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হন। আহত ঈশাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অবরোধ কর্মসূচির কারণে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার ও আন্তজেলা রুটে বাস, ট্রাকসহ ইঞ্জিনচালিত সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে, রাজশাহী রেল স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল করিম বাংলামেইলকে জানান, সকালে রাজশাহী-ঢাকাসহ সব রুটের ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে।
বর্তমানে নগরীতে সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নাশকতার আশঙ্কায় নগরীর অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার ব্যারিস্টার মাহাবুবুর রহমান বাংলামেইলকে জানান, যেকোনো ধরণের নাশকতা রোধে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।