টিকফায় কোনো পলিটিক্যাল ইস্যু নেই
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের বলেন, ‘টিকফা চুক্তিটি অনেক ধীরগতিতে করা হয়েছে। এটা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। এটা একটা সাদামাটা চুক্তি। এখানে কোনো পলিটিক্যাল ইস্যু কাজ করেনি। এই চুক্তির ফলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য বাড়বে।’
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে টিকফার প্রথম বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
ছোট দেশগুলো টিকফায় সই করলেও বড় দেশগুলো করেনি এমন প্রশ্নের জবাব মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত বড় দেশ, তারা সই করেছে। বিশ্বের অন্য বড় দেশগুলো সই করেনি এটা তাদের বিষয়।’
একই দিনে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা আর টিকফা চুক্তি সই, এর মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘আমি যখন গতকাল ক্যাবিনেটের বৈঠকে বসেছিলাম তখনও জানতাম না যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর সঙ্গে তফসিলের কোনো সম্পর্ক নেই।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেকেনো পক্ষ অপরপক্ষকে লিখিত নোটিস দিয়ে যেকোনো সময় এ চুক্তির অবসান ঘটাতে পারবে। পক্ষদ্বয় যে তারিখে চুক্তিটি অবসান হবে বলে সম্মত হবে, সেই তারিখ কিংবা উভয় পক্ষ সম্মত হতে না পারলে, নোটিস প্রদানের ১৮০ দিন পর চুক্তিটির অবসান হবে।’
মন্ত্রী জানান, ভূটান ছাড়া সার্কের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তিনি বলেন, ‘এ চুক্তির কারণে কোনো ব্যারিয়ার সৃষ্টি হবে না। এটা একটা বাণিজ্যিক চুক্তি, কোনো সামরিক চুক্তি নয়।’
গতকাল ২৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াসিংটনে ইউএসপিআর কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ডেপুটি ইউএসপিআর অয়েন্ডি কাটলার স্বাক্ষর করেন।