কঠোর গোপনীয়তায় ফিক্সিংয়ের শুনানি অনুষ্ঠিত
ঢাকা: কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফিক্সিং কেলেঙ্কারির শুনানি। রোববার বিসিবির গঠিত ট্রাইব্যুনালের অভিযুক্তদের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গুলশান-১ ব্যাংক এশিয়া টাওয়ারে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে বিপিএল ফিক্সিংয়ের প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির বিষয়ে জানতে ভিড় করা সংবাদকর্মীদেরকে বিকেলে শুনানি শেষে ব্রিফ করেন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রধান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী।তিনি শুনানির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে অসম্মতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ (রোববার) সারাদিন আমরা শুনানি করেছি। এই শুনানিতে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা উপস্থিত থেকে তাদের পক্ষে বিবৃতি তুলে ধরেন। ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে আগামী ১৯ জানুয়ারি।’
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ক্লাবের মালিক সেলিম চৌধুরী ও শিহাব চৌধুরীর পক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার নউজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন কিছুই বলা যাবে না। তবে এটি একটি আধুনিক ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্ত সবাই এক সঙ্গে শুনানিতে অংশ নেন। অনেকেই স্কাইপের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেন।’
স্কাইপের মাধ্যমে কার আইনজীবী অংশ নেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মোহম্মদ আশরাফুলের আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেল লন্ডন থেকেই এই মামলার শুনানিতে অংশ নেন স্কাইপের মাধ্যমে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থেই আমরা শুনানির বিস্তারিত প্রকাশ করছি না।’
এছাড়া, মোশারফ হোসেন রুবেল ও মাহবুবুল আলম রবিনের আইনজীবী তুহিন বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, আজ শুনানি শুরু হলো। আজ প্রথম দিন আমাদের বক্তব্য ট্রাইব্যুনালে তুলে ধেরেছি। ট্রাইব্যুনাল আমাদের বক্তব্য শুনেছে। এর বাইরে কিছুই বলা যাবে না।’
উল্লেখ্য, বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠার পর আইসিসিরি দুর্নীতি দমন নিরাপত্তা ইউনিট (আকসু) ঘটনা তদন্তের পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন জনসহ নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এরা হলেন- জাতীয় দলের মোহম্মদ আশরাফুল, মোশারফ হোসেন রুবেল, মাহবুবুল আলম রবিন, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের মালিক সেলিম চৌধুরী ও শিহাব চৌধুরী।
বিদেশিদের মধ্যে অভিযুক্তরা হলেন- বিপিএল প্রধান নির্বাহী গৌতম রাওয়াত (ভারত), শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার কৌশল্য লোকুয়ারাচ্চি ও ইংল্যান্ডের ড্যারেন স্টিভেন্স।আকসু তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার পরেই অভিযোগের বিচার করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিসিবি। আশরাফুল এ অভিযোগ স্বীকার করেছেন। বিসিবি তাকে সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করেছে। রুবেল ও রবিনও নিষিদ্ধ। তবে এ দু’জন নিজেদের নির্দোষ ধাবি করেছেন।