adv
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আইন-শৃক্সখলা বাহিনী প্রস্তুত

untitled-49_21706_0চলমান রাজনৈতিক সংকটে আইন-শৃক্সখলা বাহিনীর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। মহাজোট সরকারের মেয়াদের শেষদিকে এসে মাঠ পর্যায়ের যে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি আইন-শৃক্সখলা বাহিনীকেই মোকাবেলা করতে হবে।
রাজনৈতিক সংকটের সমঝোতা বা আলোচনার পথ না খুললে চলতি সপ্তাহ থেকে আবারও টানা হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। এমনকি ২৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।আইন-শৃক্সখলা বাহিনী প্রস্তুত
আর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই দেশ 'অচল' করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এমন বাস্তবতায় যতই সময় পার হচ্ছে ততই আইন-শৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব আরও বাড়ছে।
ইতিমধ্যে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচন ঘিরে মাঠ পর্যায়ের পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় অতীতের মতো যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশও প্রস্তত বলে মন্তব্য করেছেন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার।
এর আগে বিভিন্ন সময় জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছিল। এ বছর এখনও নির্বাচন ঘিরে সেই ধরনের কোনো অভিযান হয়নি। তবে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরই বাস্তবতা বিবেচনা করে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তার আগে বিবদমান অনেক রাজনৈতিক বৈতরণী পার করতে হবে পুলিশকে 
এ ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার  বলেন, পুলিশ সদস্যরা ইতিপূর্বে অনেক ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। প্রমাণ করেছেথ যে কোনো নৈরাজ্যকর অবস্থা ঠেকাতে তারা সক্ষম। জাতীয় নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৬ হাজার নির্বাচনে পুলিশ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুভাবেই পালন করেছে।
নির্বাচন ঘিরে দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানের ব্যাপারে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, যদি প্রয়োজন হয়, জনস্বার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কৌশলগত কারণে এখনই আমরা বিশেষ অভিযানের কথা বলছি না।
জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় পুলিশ সদস্যরা গত কয়েক মাস ধরেই মাঠ পর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচি মোকাবেলায় বেশি সময় ব্যয় করছেন। ১৮ দলীয় জোটের পরপর তিন দফায় টানা হরতাল কর্মসূচিতে প্রতিদিন শুধু ঢাকায় ১০ হাজারের বেশি পুলিশ-র‌্যাব দায়িত্ব পালন করেন।
এর বাইরে বিজিবি সদস্যরাও মাঠে ছিলেন। সরকারের শেষ সময়ে আইন-শৃক্সখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর সব থানার ওসিকে ডিএমপি সদর দফতর থেকে গত সপ্তাহে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনায় স্ব-স্ব এলাকার মেসের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়।
মেসে বসবাসকারীদের ওপর নজরদারি রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজপথে যে কোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি এড়াতে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এনেছে পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ওপর থাকছে নজরদারি। মন্ত্রী ও কূটনৈতিক পাড়ায় ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। নির্বাচনের আগেই তৈরি হতে পারে সন্ত্রাসীদের নতুন তালিকা।
পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, জামায়াত-শিবিরের ঝটিকা মিছিল, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ দমন করতেই তারা হিমশিম খাচ্ছেন। হরতালের আগের দিন থেকেই রাজধানীতে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। চোরাগোপ্তা হামলা ও বোমা হামলার শতভাগ আশঙ্কার কারণে অলিগলি পর্যন্ত টহল দিতে হয় পুলিশকে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে পরামর্শ দিচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রাজধানীতে পেট্রোল বোমা ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক সোর্স নিয়োগ করেছে পুলিশ।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, নির্বাচন ঘিরে অপরাধীরাও জামিনে বের হচ্ছে। ইতিমধ্যে জামিনে বের হয়েছে পুরান ঢাকার করাতিটোলার ফিরোজ, নারিন্দার নজরুল, পুলিশ হত্যা মামলার আসামি মিন্টু, জামাল মল্লিক, ছোট হান্নু, রাসেল, রানা ও ইমতিয়াজ। এছাড়া অস্ত্রধারী কিলার হিসেবে পরিচিত জুনায়েদ, সবুজ, সাহাবুদ্দিনও জামিন পাওয়ার পর কারাগার থেকে বের হয়েছে। জামিনে বের হয়ে অনেকেই আবার তাদের পুরনো পেশায় জড়িয়ে পড়েছে এমন তথ্যও তাদের কাছে রয়েছে।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ
November 2013
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া