ব্যারিস্টার ফখরুল কারাগারে রোববার রিমান্ড শুনানি
ঢাকা: বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদেরের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের রিমান্ডে শুনানি রোববার ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী মামলার কেস ডকেট (সিডি) আদালতে উপস্থাপিত না হওয়ায় এ আদেশ দেন।
সাকা চৌধুরীর রায় ফাঁসের ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলায় বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার তার চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদšত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর হাবিল হোসেন সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে ব্যারিস্টার ফখরুলকে আদালতে হাজির করেন।
আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। রিমান্ড শুনানিতে মামলার কেস ডকেট (সিডি) উপস্থিত থাকা প্রয়োজন ,তদন্ত কর্মকর্তা সিডি না পাঠানোয় আইনজীবীরা সিডি ছাড়া রিমান্ড শুনানির বিরোধিতা করেন।
সিডি না থাকার কারণে বিচারক কেশব রায় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আগামী রোববার সিডির উপস্থিতিতে রিমান্ড ও জামিনের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য্য করেন।
উল্লেখ্য, রায় ফাঁসের ঘটনার ওই মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী কর্মচারী নয়ন আলী আদালতে জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে ব্যারিস্টার ফখরুল ও ওই ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক আহমেদ জড়িত বলে উল্লেখ করে।
রায় ফাঁসের ঘটনার গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম নিজ হাতে নয়ন আলীকে একটি সিমফোনি এক্সপ্লোরার মোবাইল ফোন দিয়েছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন।
নয়ন আলী ও ফারুক আহমেদ এর আগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন। নয়ন আলী স্বীকারোক্তি করার পর ফারুক আহমেদ আদালতে স্বীকারোক্তি করেছেন।
তাদের স্বীকারোক্তি ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য বিএনপি সিনিয়য় ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল-মামুনের আইনজীবী ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁস হওয়ার পর পর তিনি আত্মগোপনে চলে যাওযার কারণে শেষ সময় গিয়াস উদ্দিন আল-মামুনের মামলা পরিচালনা করতে পারেননি।