ঢাবিতে ‘আমার দেশের’ প্রতিনিধিকে ছাত্রলীগের মারধর
ঢাকা: চাঁদাবাজির তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ইয়ামিন সাজেদ।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ইয়ামিন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কার্জন হলে চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের কাজ করতে একটি ইউনিট আসে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি হাসানুজ্জামান কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে শুটিংকারীদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে যান। তারা ঘটনা জানতে চাইলে ছাত্রলীগকর্মীরা খেপে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগকর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাকিব আহমেদ ইয়ামিন সাজেদের মাথায় আঘাত করেন। পরে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ছাত্রলীগকর্মীরা ইয়ামিনের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেন। পরে সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে মোবাইল ফেরত দেন তারা।
ইয়ামিন জানান, তিনি কার্জন হলে চাঁদাবাজির ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। সাংবাদিক পরিচয় শুনে ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হন এবং রাকিব নামে একজন তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।
ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “রাশেদ নামের এক শিবিরকর্মীকে কার্জন হলে ধরা হয়। সে (রাশেদ) বিভিন্ন সময়ে আমাদের নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “কার্জন হলের মাঠে এক সাংবাদিকের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে মাত্র। বেশি কিছু হয়নি।” চাঁদাবাজির বিষয়ে কিছু জানেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “কার্জন হলে শিবিরের নেতা এসেছে- এই খবরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে যান। পরে সেখান থেকে একজনকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “ইয়ামিনকে মারধরের সঙ্গে এই ঘটনার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তবে এই ঘটনাটি মনে হয় পরে ঘটেছে। জড়িত যারাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে