জিয়া খান: আত্মহত্যা নয় হত্যা
ঢাকা: বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। সম্প্রতি জিয়া খানের মৃতদেহের ফরেনসিক রিপোর্টে এমন আভাসই পাওয়া গিয়েছে।
গত ৩ জুন নিজ বাসা থেকে জিয়া খানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সেই থেকে তার মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয় ধূম্রজাল। তবে এবার মনে হয় সেই ধুম্রজাল ভেদ করতে যাচ্ছে জিয়া খানের মৃতদেহের ফরেনসিক রির্পোট।
সম্প্রতি কালিনা ফরেনসিক ল্যাবরেটরি জিয়া খানের মৃতদেহের ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে জিয়া খানের আঙ্গুলের নিচে মানুষের মাংসের ছাঁপ এবং রক্তের দাগ। এমনকি জিয়ার অর্ন্তবাসেও রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। আর এ থেকেই বোঝা যায়, আত্মহত্যা নয়, হত্যা করা হয়েছে জিয়া খানকে। তাই নতুন করে আবারো তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন জিয়ার পরিবার।
অন্যদিকে জিয়ার বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই বাড়িতে প্রবেশ করেন জিয়া। সেই সময় তার পরনে ছিলো একটি ট্র্যাকশ্যুট। কিন্ত জিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করার পর দেখা গিয়েছে, নাইট গাউন পরা। আর তাই জিয়া খানের মা এই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিলো। জিয়ার কক্ষে ফ্যানের যা উচ্চতা, তাতে জিয়ার পক্ষে তা ছোঁয়া সম্ভব নয়৷ এমন কি বাড়িতে টুল জাতীয় কোনও উঁচু জিনিস ছিল না।
এসব কারণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জিয়ার পরিবার৷ কারণ জিয়ার পরিবার প্রথম থেকেই জিয়ার সাবেক প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে সন্দেহ করে আসছিলো। এমন কি আদিত্য পাঞ্চালির ছেলে সুরজ পাঞ্চোলিকে দোষি সাব্যস্ত করে জিয়া খানের সুইসাইডও নোট উদ্ধার হয়েছিল।
উল্লেখ্য, জিয়া খানের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে সুরজ পাঞ্চোলিকে গ্রেফতারও করেছিলো পুলিশ। তবে কিছুদিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যান তিনি