বাংলাদেশ নিয়ে ভারত-মার্কিন আলোচনার নির্দেশ ওবামার
ঢাকা: বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে কৌশল নির্ধারণে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে মার্কিন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শুক্রবার ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে কিছুদিন আগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভারত। হোয়াইট হাউজে সাম্প্রতিক এক সফরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথাও ওবামাকে জানান।
এমনকি এ বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা নয়াদিল্লীকে জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির সঙ্গেই বেশি স্বস্তিবোধ করে। এ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরির পর ওবামা তার কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দিলেন।
ওবামা এমন এক সময় মার্কিন কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দিলেন যখন মনমোহন ব্যক্তিগতভাবে সম্প্রতি বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট, সহিংসতা এবং মৌলবাদ নিয়ে ওবামার কাছে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওবামা মনমোহনের এই উদ্বেগ গুরুত্বের সঙ্গে নেন এবং এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আরো আলোচনা করতে তার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, এ বিষয়ে শুধু দেশ দু’টির সর্বোচ্চ পর্যায়েই নয় একই সঙ্গে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন এবং দেশটিতে থাকা শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা সুসান রাইসের মধ্যেও আলোচনা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা তার সাম্প্রতিক ভারত সফরকালেও এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেন।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি এই প্রেস রিপোর্টটি দেখেছি। এটা আসলে ভারতীয়দের জন্য যাতে তারা নির্দিষ্ট করে তাদের অবস্থান তুলে ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিকোণ থেকে আমার মনে হয় না, মার্কিন ও ভারতীয়দের মতামতের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে।’
এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা তার সাম্প্রতিক ভারত সফরকালেও এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেন।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি এই প্রেস রিপোর্টটি দেখেছি। এটা আসলে ভারতীয়দের জন্য যাতে তারা নির্দিষ্ট করে তাদের অবস্থান তুলে ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিকোণ থেকে আমার মনে হয় না, মার্কিন ও ভারতীয়দের মতামতের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র আগেই দিল্লীকে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়।