সাড়ে তিন কোটি দিয়ে আনা হচ্ছে মাল্টিপল টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার
ডেস্ক রিপোর্ট : বিক্ষোভ-অসšেত্মাষ মোকাবিলায় এবার অত্যাধুনিক টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার পেতে যাচ্ছে পুলিশ। এর মাধ্যমে একবারে ৩৬টি টিয়ার শেল ছুড়তে পারবে পুলিশ। অর্থাৎ এর সাহায্যে ৩৬ জন পুলিশের কাজ একাই করতে পারবে একজন পুলিশ। অত্যাধুনিক এ অস্ত্রের নাম 'মাল্টিপল টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার'।
এ বিষয়ে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (আগের দাঙ্গা দমন বিভাগ) দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আতিকা ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস গান দিয়ে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন ক্রাউড কন্ট্রোলের জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে। মাল্টিপল টিয়ার গ্যাস লঞ্চার আনা হলে পুলিশের উপকার হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কয়েকজন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অত্যাধুনিক এ লাঞ্চারের কার্যক্ষমতা দেখে এটি কেনার পরামর্শ দেন সরকারকে। এরপর সরকার এ লঞ্চার কেনার সিদ্ধাšত্ম নেয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে চারটি লঞ্চার আনা হচ্ছে। একেকটির দাম ৫৬ হাজার ডলার বা প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। চারটি লাঞ্চারের দাম পড়বে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো। আর এসব লঞ্চারে ব্যবহারের জন্য প্রাথমিকভাবে আনা হচ্ছে ৯ হাজার টিয়ার গ্যাস শেল। প্রতিটির দাম ২৫ ডলার বা প্রায় দুই হাজার টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার সরঞ্জাম আনা হচ্ছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে যে অস্ত্র দিয়ে টিয়ার শেল ছোড়া হয় সেটিকে গ্যাস গান বলা হয়। এটি দিয়ে একবারে একটির বেশি শেল ছোড়া যায় না। কিন্তু মাল্টিপল লাঞ্চার দিয়ে একবারে অনেক শেল ছোড়া যায়। ফলে পুলিশ প্রয়োজন মোতাবেক দ্রুত সমাবেশ বা মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিতে পারবে।
আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে বিক্ষোভ মিছিল বা সমাবেশ কন্ট্রোল করা হয় গ্যাস গান দিয়ে। বর্তমানে গার্মেন্ট সেক্টরে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যে ধরনের বিক্ষোভ মিছিল হয়, তা নিয়ন্ত্রণের জন্য মাল্টিপল টিয়ার গ্যাস লাঞ্চার কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ অস্ত্র খুবই দরকার। কালের কন্ঠ