adv
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রসূতির সিজার করে ডাক্তার জানান ‘সন্তান নেই’

Sesar প্রসূতির পেট কেটে ডাক্তার জানায় ‘সন্তান নেই’ প্রসূতির পেট কেটে ডাক্তার জানায় ‘সন্তান নেই’ Sesarনিজস্ব প্রতিবেদক : প্রসব ব্যাথায় কাতর রেবেকা বেগম। স্বজনরা তাকে নিয়ে গেলেন হাসপাতালে। তাকে ভর্তির পর হলো অস্ত্রোপচার। কিন্তু অস্ত্রোপচার শেষে চিকিতসকরা জানালেন ‘সন্তান পাওয়া যায়নি’! চিকিতসকের এমন কথা শুনে মা রেবেকা হতবাক। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। হতাশ স্বজনরাও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না হয়রানীর ভয়ে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ অক্টোবর ঘটেছে এমন ঘটনা। তবে চিকিতসকের এমন কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই।
এদিকে হাসপাতালের ১নং গেইটের পাশ থেকে গত ১৪ অক্টোবর দুপুরে পুলিশ এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে। প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো লাশটি উদ্ধারের পর কোতোয়ালী মডেল থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়রিও করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুর মরদেহটি হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে বলে জানিয়েছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
১৩ অক্টোবর রাতে অস্ত্রোপচার, পরদিন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো একটি নবজতকের লাশ উদ্ধার- এই দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, ভুল অস্ত্রোপচারে নবজাতকের মৃত্যু হওয়ায় বিতর্ক এড়াতে তাকে ফেলে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের আছকর আলীর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা রেবেকা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে ১১ অক্টোবর তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ১৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও পরে সেখান থেকে তৃতীয় তলার ১৪নং ওয়ার্ডে (গাইনী বিভাগে) স্থানান্তর করা হয়।
চিকিতসকরা ১৩ অক্টোবর রেবেকা বেগমের শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করে পরীক্ষা ছাড়াই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। রাত ৮টায় রেবেকাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হলেও অপরারেশন শুরু হয় রাত সাড়ে ১১টায়। দীর্ঘ সময় ধরে চলে অস্ত্রোপচার। একপর্যায়ে চিকিতসকসহ অস্ত্রোপচারে সংশ্লিষ্টরা বাইরে এসে রেবেকার স্বজনদের জানান ‘সিজার করে সন্তান পাওয়া যায়নি’!
তাদের কথায় উপস্থিত লোকজনসহ রেবেকার স্বজনরা হতবাক হয়ে যান। তারা এ ব্যাপারে অস্ত্রোপচারকারী চিকিতসকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সে সুযোগ দেয়া হয়নি। ফলে তখন থেকেই ঘটনা নিয়ে উপস্থিত লোকজনের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। চিকিতসকদের আচরণও ছিল রহস্যজনক। চিকিতসকদের কথা বিশ্বাস করতে পারছেন না রেবেকা। জানান, সন্তানের নড়াচড়া স্পষ্ট অনুভব করেছেন তিনি। চিকিৎসকরা তাকে ফাঁকি দিচ্ছেন, তার সন্তান চুরি করেছেন।
রেবেকা বেগমের স্বামী আছকর আলী বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পর আমাদের জানানো হয় কোনো সন্তান পাওয়া যায়নি। যে সন্তানের নড়াচড়া তার মা অনুভব করেছেন সেখানে সন্তান না পাওয়ার কথা নয়। চিকিতসকদের কথা খুবই রহস্যজনক। কিন্তু আমরা কী করবো, আমাদের তো কোনো শক্তি নেই।’
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক তš§য় ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনা তিনি শোনেননি। তবে এ নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া