‘আমি নিয়মিত কাজ করছি, তবে চলচ্চিত্রে নয়’
ইমরুল শাহেদ : মুম্বাই অভিনেতা ওমপুরী চম্পাকে বলতেন বাংলাদেশের শাবানা আজমী। চম্পাও বিষয়টাকে বেশ উপভোগ করতেন। সেই চম্পাকে দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে।
তাকে গতকাল শনিবার এক কাপ চা খ্যাত পরিচালক নাইম ইমতিয়াজ নিয়ামুলের জ্যাম ছবিতে ভিক্ষুকের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেল। চম্পা বলেন, ‘আমি নিয়মিতই কাজ করছি। তবে চলচ্চিত্রে নয়।’ চলচ্চিত্রে নয় কেন – এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে চম্পা যে মেইক আপ রুমে বসে মেইক আপ নিচ্ছিলেন সে রুমটির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এক যুগ পর এই মেইক আপ রুমে এলাম। এক যুগ আগে এই রুমটি আরো সুন্দর ছিল। এক যুগ পর এসে দেখছি রুমটি
অনেক খারাপ অবস্থায় আছে। এর থেকেই তো বুঝতে পারেন চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা কি?’
চম্পা চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন তিন কন্যা ছবি দিয়ে। প্রয়াত পরিচালক শিবলি সাদিক পরিচালিত এই ছবিটি প্রযোজনা করেন চম্পার বড় বোন নায়িকা সুচন্দা। তারপর সহযাত্রী ও ভেজা চোখ ছবি পর পর হিট করায় তিনি তারকা হিসেবে উদ্ভাসি হয়ে ওঠেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে – পদ্মা নদীর মাঝি, লাল দরজা, টার্গেট, লটারী, বিরহ ব্যথা, নিষ্পাপ, বাপ বেটা ৪২০, নীতিবান, প্রেম দিওয়ানা, শংখনীল কারাগার, অন্যজীবন, মনের মানুষ ও কাশেম মালার প্রেম।
চম্পা বরাবরই তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবির চাইতে বেশি আগ্রহী ছিলেন ব্যতিক্রমী ধারার ছবিগুলোর প্রতি। বিশেষ করে শ্রমিক, কর্মচারিদের প্রতিনিধিত্বশীল চরিত্র হলে তিনি পারিশ্রমিকের দিকে না তাকিয়েই কাজ করেছেন। জ্যাম ছবিতে ভিক্ষুক সাজার আগে তিনি শহিদুল ইসলাম খোকনের পালাবি কোথায় ছবিতে মেথরানী সেজেছেন। স›দ্বীপ রায়ের টার্গেট ছবিতে ওমপুরীর বিপরীতেও তাকে মেথরাণী চরিত্রে দেখা গেছে। জ্যাম ছবি ছাড়াও ভিক্ষুক চরিত্রে আরও একটি ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। সমাজের হ্যাভনটদের প্রতিনিধিত্ব করে তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
ক্যারিয়ারের শুরুতে চম্পার জুটি গড়ে উঠেছিল ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে সরে থাকার কারণে কাশেম মালার প্রেম ছবিতে তার জুটি গড়ে ওঠে মান্নার সঙ্গে। কাশেম মালার প্রেম বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার পর চম্পা-মান্না জুটিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মান্নার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শেলী কাদের প্রযোজনায় এসে জ্যাম নামের এ ছবিটি নির্মাণ করছেন। সে ছবিতে চম্পা কাজ করছেন। কেমন লাগছে তার জানতে চাওয়া হলে চম্পা বলেন, ‘বেদনা বিদুরিত এই মুহূর্তটিকে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।’