রাজধানীসহ সারাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১০, টানা ১১ দিনে ৬২ জন নিহত
ডেস্ক রিপাের্ট : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর দাবি করছে, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’। আর কক্সবাজারের মহেশখালীতে এমপি বদির বেয়াই নিহত হয়েছেন দু’পক্ষের গোলাগুলিতে। এসময় জব্দ করা হয় অস্ত্র ও গুলিসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।
ঢাকা: র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বিজি প্রেস হাইস্কুলের পাশে অভিযান চালানো হয়। এসময় তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে মাদক ব্যবসায়ীরা। র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়ছে কামরুল নামে একজন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঝিনাইদহ : পুলিশ জানায়, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ওয়াপদা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে শামীম নামে একজন আহত হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এছাড়া, পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে গাইবান্ধায় একজন, নেত্রকোনার মদনপুরে দু’জন, ময়মনসিংহ একজন, শেরপুরে একজন ও কুমিল্লার বুড়িচংয়ে একজন ও সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাদকব্যবসায়ীদের দু’পক্ষের গোলাগুলিতে একজন হন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই মাদকব্যবসায়ী বলে দাবি করছে পুলিশ।
আর নিহত ব্যক্তি বিতর্কিত সংসদ সদস্য বদির বেয়াই বলে জানা গেছে।
এরআগের রাতে দেশজুড়ে অব্যাহত মাদকবিরোধী অভিযানে ১০ জন নিহত হন। র্যাব ও পুলিশের দাবি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তাদের মৃত্যু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ১৫ মে থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া তথ্য ও আমাদের প্রতিবেদকদের পাওয়া তথ্যে রাজধানীসহ সারা দেশে কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাড়ি থেকে সকালে ডেকে নিয়ে রাতে ও দোকান থেকে তুলে নেয়ার তিন দিন পর বন্দুকযুদ্ধে নিহতের অভিযোগ আছে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে।