জিপিএস ডিভাইস লঙ্কান ক্রিকেটারদের শরীরে
স্পাের্টস ডেস্ক : স্প্যানিশ জায়ান্ট ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। লিওনেল মেসি-লুই সুয়ারেজদের জন্য সেখানে আছে প্লেয়ার ম্যানেমেন্ট অ্যাডভান্স টেকনোলজি সিস্টেম। যে সিস্টেম খেলোয়াড়দের ইনজুরি থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে। সেই সাথে ইনজুরি আক্রান্ত খেলোয়াড়দের ফিটনেস দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ২০১৯ বিশ্বকাপকে টার্গেট করে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছে।
শ্রীলঙ্কার দল সংশ্লিষ্টদের আশা, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের তত্বাবধান আরো ভালো হবে। তাতে করে সামনে বিশ্ব অঙ্গনে দেশটির ক্রিকেট মর্যাদাও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। মাঝে বছর দেড়েক খুব খারাপ সময় গেছে লঙ্কান ক্রিকেটের। তাদের ইতিহাসের বাজে সময় বলেও সেটা বিবেচিত।
লঙ্কান বোর্ড বার্সেলোনার মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে খরচও করেছে বেশ। এই প্লেয়ার্স ম্যানজেমেন্ট সিস্টেম সফটওয়ারের দাম পড়েছে ৭৫, ০০০ ডলার। ক্রিকেটারদের ফিটনেসের জন্য এই বিপুল অংকের টাকা খরচ করতে পিছপা হয়নি তারা। লঙ্কান কর্মকর্তাদের দাবি, ক্রিকেট খেলা দেশগুলোর মধ্যে তারাই এখন সবচেয়ে অ্যাডভান্স প্লেয়ার ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজি ব্যবহার করছেন। ম্যাচ বিশ্লেষণের জন্য এর সাথে যোগ করা হয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থাও।
‘আমরা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে খেলার উন্নতির জন্য অনেক রিসোর্স ও প্রযুক্তি ব্যবহার করছি-‘ লঙ্কান ক্রিকেট কর্মকর্তা অ্যাশলে ডি সিলভা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন এই কথা। আর তাদের হাই পারফরম্যান্স ম্যানেজার সিমন উইলিস জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির ব্যবহারে নির্বাচক, ম্যানেজার, কোচও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স তদারক করতে পারবেন।
শ্রীলঙ্কা ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ী দল। ২০১৪ সালে তারা জিতেছে টি-টুয়েন্টি বিশ্ব আসর। কিন্তু টানা অনেকদিন বাজে সময় কাটিয়ে এই বছর নতুন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে আবার পথে ফিরতে শুরু করেছে তারা। আর লঙ্কান খেলোয়াড়রা এখন ট্রেনিং ও ম্যাচের সময় জিপিএস ডিভাইস শরীরে ব্যবহার করছেন। চলমান নিদাহাস তিন জাতি টি-টুয়েন্টি সিরিজের ম্যাচের সময়ও তাই হচ্ছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স এবং অবস্থা সম্পর্কে এই প্রযুক্তি অনেক বেশি ভালো ফলাফল দেয় বলে জানালেন সিমন।
সূত্র : এএফপি।