দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের ৩ মালিক কারাগারে
ডেস্ক রিপাের্ট : মুদ্রা পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক পাঁচ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, আজাদ আহমেদ ও গুলজার আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
দিলদার আহমেদকে উত্তরা পূর্ব, রমনা ও ধানমন্ডি থানার শুল্ক আইনে দায়ের করা মামলায় মহানগর হাকিম নুরুন্নাহারন ইয়াসমিন ও দেবব্রত বিশ্বাস জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
এছাড়া গুলশান থানার দুই মামলায় দিলদার আহমেদের ভাই আজাদ আহমেদ ও গুলজার আহমেদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন মহানগর হাকিম আহসান হাবিব।
মঙ্গলবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। এর আগে রোববার ও সোমবার আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ১২ আগস্ট চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ডায়ামন্ড জব্দের ঘটনায় এবং এসব মূল্যবান ধাতু কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখার দায়ে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এর মধ্যে গুলশান থানায় দুটি (মামলা নং- ১৫ ও ১৬), ধানমন্ডি থানায় একটি (মামলা নং- ১০), রমনা থানায় একটি (মামলা নং- ২৭) এবং উত্তরা পূর্ব থানায় একটি (মামলা নং- ১৭) ফৌজদারি মামলা করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে এম আর জামান বাঁধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এসব মামলা করেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের তিন জন- দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদ।
উল্লেখ্য, দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ রাজধানীর বনানীর একটি অভিজাত হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।