আবাহনীর অমলেশ দা আর নেই
স্পাের্টস ডেস্ক : কে জানত শনিবার বিকেলেই ছিল অমলেশ সেনের শেষ অনুশীলন! কে জানত এভাবে আচমকা চলে যাবেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য অমলেশ সেন? ৭২ বছর বয়সে সন্ধ্যা ৭টায় না ফেরার দেশে চলে যান ফুটবলশিল্পী অমলেশ সেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বাংলাদেশের ফুটবলের প্রবীণ এ কোচ।
আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ রায় রূপু জানান, ৭ অক্টােবর বিকেলেও অনুশীলনের টিম মিটিংয়ে ছিলেন তিনি। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পরই মারা যান তিনি।
রোববার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে শেখ জামালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ওই ম্যাচের জন্যই শনিবার বিকেলে আবাহনীকে অনুশীলন করান অমলেশ সেন। অনুশীলনের পর টিম ব্রিফিংয়ের সময় অসুস্থ বোধ করলে বর্ষীয়ান এ কোচ নিজ কক্ষে যান। রুমে যাওয়ার পর অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর তাকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রথমে ধানমণ্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে ও পরে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অমলেশ সেন স্ত্রী, দুই ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রাতেই অমলেশ সেনের মরদেহ ক্লাব প্রাঙ্গণে নেওয়া হয় এবং শেষবারের মতো ক্লাবের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
১৯৪৩ সালের ২ মার্চ বগুড়ায় জন্ম নেওয়া অমলেশ সেন ফুটবলের প্রেমে পড়েন স্কুলজীবনে। বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে তার ফুটবলে হাতেখড়ি। জেলা শহরেই তৎকালীন বাইটন ক্লাবের হয়ে তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু। বগুড়ায় খেলেন পাঁচ বছর। এরপর চলে আসেন রাজধানীতে। ঢাকায় ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত খেলেন ফায়ার সার্ভিস ও ইস্টএন্ডের হয়ে।
১৯৭০ সালে যোগ দেন ঢাকা মোহামেডানে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরের বছর যোগ দেন ঢাকা আবাহনীতে। সেই ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত খেলেছেন প্রিয় দল আবাহনীতে। অবসর নেওয়ার পর মৃত্যু পর্যন্ত নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন আবাহনীর সঙ্গে। মাঝে অবশ্য কিছু দিনের জন্য মুক্তিযোদ্ধার কোচ ছিলেন। এরপর আবার ফিরে আসেন আবাহনীতে। ক্লাবের জন্মলগ্ন থেকে জড়িত ছিলেন আবাহনীর সঙ্গে। চলতি মৌসুমে তিনি আবাহনীর কোচ দ্রাগো মামিচের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।