adv
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিআইবি বলছে – স্বর্ণ চোরাকারবারির দায় সরকারেরও

TIBনিজস্ব প্রতিবেদক : স্বর্ণ ব্যবসার জালিয়াতি ও চোরাকারবারিতে শুধু ব্যবসায়ীদের নয় সরকারেরও দায় রয়েছে, বলে মনে করছে দুর্নীতি বিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার (০৯ জুন) এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ মন্তব্য করেন।
স্বর্ণ ব্যসবসার নতুন নীতিমালা প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ওপর প্রাধান্যের দাবি জানিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, স্বর্ণ ব্যবসার জালিয়াতি ও চোরাকারবারিতে শুধু ব্যবসায়ীদের নয় সরকারেরও দায় রয়েছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাব, আইনের যথাযথ প্রয়োগের ঘাটতি, সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একাংশের দায়িত্বে অবহেলা ও যোগসাজশের আড়ালে স্বর্ণ ব্যবসা দুর্নীতি, জালিয়াতি ও চোরাকারবার নির্ভর হয়ে আছে।
বাজেটে ঘোষিত স্বর্ণ খাতের নতুন নীতিমালা তৈরিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের প্রাধান্য দিয়ে টিআইবি’র নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে যুগোপযোগী নীতি কাঠামো প্রস্তুত ও বাস্তবায়নে কার্যকর প্রদক্ষেপ নিতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর পরিচালিত চলমান অভিযান সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেমন সমভাবে সম্পূর্ণ আইনী প্রক্রিয়ায় প্রযোজ্য হতে হবে। তেমনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠন ও অন্য কোন মহল এক্ষেত্রে কোন ধরনের বিধিবহির্ভূত বাধা দেওয়া বা প্রভাব সৃষ্টি করা অযৌক্তিক, অনৈতিক ও বেআইনী।
তিনি বলেন, এধরনের তৎপরতায় লিপ্ত হওয়া প্রকারান্তরে দুর্নীতির সহায়কের ভূমিকা পালনের নামান্তর। আমরা আশা করবো উক্ত অধিদফতর তাদের অভিযানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যেমন পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা পাবে, তেমনি জুয়েলার্স সমিতিও আইনের প্রয়োগে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবে। অন্যান্য ব্যবসা খাতেও একই ধরনের আইন বহির্ভূতভাবে ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে, কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে।’
পরিপূর্ণ, যুগোপযোগী ও বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত বিধানসহ একটি কার্যকর স্বর্ণ আমদানী এবং ব্যবসা নীতিমালা তৈরি ও প্রয়োগ হলে বাংলাদেশের জুয়েলারি ব্যবসাকে আরো বিকাশমান ও টেকসই উন্নয়নে সহায়ক শিল্পে উন্নতিকরণ সম্ভব মন্তব্য করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্বচ্ছ বিধান ও আইনের অভাবে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অনৈতিক পন্থায় দুর্নীতি, চোরাকারবারি ও অর্থপাচার নির্ভর স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। অথচ বছরের পর বছর কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ বা উদ্যোগ পরিলক্ষিত না হওয়া যেমন রহস্যজনক, তেমনি জাতীয় অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকারক। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যেসব কর্মকর্তা এধরনের অবহেলা ও যোগসাজশের সঙ্গে জড়িত, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
জুয়েলারি ব্যবসায় সুশাসন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা ও সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন ড. ইফতেখার। এ জন্য সরকার ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি কর্তৃক একদিকে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও সহায়ক ভূমিকা পালন এবং অন্যদিকে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে স্বর্ণ আমদানী ও ব্যবসা নীতিমালা তৈরীতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া