মিশরীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ
কায়রো: মিশরের সামরিক বাহিনী ও সেনা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক আইনজীবীরা। খবর আল জাজিরা’র।
মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে গত ৩ জুলাই উৎখাত করার পর এসব অপরাধ সংঘটিত হয়।
শনিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উচ্চ পর্যায়ের একটি আইনজীবী প্যানেল সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ ও মানবাধিকার লংঘনের প্রমাণ তুলে ধরেন।
গত আগস্ট থেকে অনুসন্ধান চালায় প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করে শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী তৈয়ব আলী বলেন, ‘অনুসন্ধানকালে আমরা প্রাথমিকভাবে নিম্নবর্ণিত অপরাধের প্রমাণ পেয়েছি: হত্যা, বেআইনি আটকাদেশ, নির্যাতন, নির্দিষ্ট দলের বিচার, গুম এবং এ ধরনের আরো নানা অপরাধ।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যক্তির ওপর শারীরিক ও মানসিক ভয়াবহ নিপীড়ন করে চরম দুর্ভোগে ফেলা হয়েছে।’
তৈয়ব আলী বলেন, ‘এসব অপরাধের মূল হোতা ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা এবং সৈনিকরা।’
এই আইনজীবী প্যানেলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন- যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠক মাইকেল ম্যানসফিল্ড, আন্তর্জাতিক আইনে বিশেষজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী জন ডুগার্ড।
এখন হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস অথবা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য আবেদন জানানো হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাত করার পর তার গণতন্ত্রপন্থি শ’ শ’ লোককে হত্যা করেছে মিশরীয় সেনাবাহিনী। বস্তুত, মিশরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালিয়েছে বর্তমান সেনাসমর্থিত সরকার।