মাদকসেবনই কারণ, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
ঢাকা: মাদক সেবন করতে গিয়েই সাভারের আমিনবাজারে ছয় ছাত্র খুন হয়েছিল বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। আর এটি যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি অভিযোগ করে গণমাধ্যমেরও সমালোচনা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুবকেন্দ্র মিলনায়তনে ঢাকা জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদকবিরোধী সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কামরুল ইসলাম বলেন, “মাদক সেবন করতে গিয়ে ওই ছাত্ররা গণপিটুনিতে মারা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য, গণমাধ্যমে এ বিষয়টি প্রতিফলিত হয়নি।” বিষয়টি তুলে ধরা হলে মাদকের কুফল নিয়ে অনেক অভিভাবক সচেতন হতেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামসংলগ্ন কেবলার চরে পিটিয়ে হত্যা করা হয় মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের তিন শিক্ষার্থীসহ ছয় কলেজছাত্রকে। থানা পুলিশ, সিআইডি ঘুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এর তদন্তভার পড়ে র্যা বের কাছে। তারা দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলাটি বর্তমানে জজ আদালতে বিচারাধীন।
ছয় ছাত্র হত্যা মামলায় খাদ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের নেতারাও অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে বিচারের সম্মুখীন। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১১ জন কারাগারে, ১৩ জন জামিনে এবং ৩৬ জন পলাতক। গ্রেফতারকৃত ২৪ জনের মধ্যে ১৪ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অভিযোগপত্রে সাক্ষী করা হয়েছে ৯২ জনকে। পুলিশি তদন্ত এমনকি আসামি ও সাক্ষীদের কেউ দাবি করেননি যে নিহত ছাত্ররা মাদক সেবন করতে সেখানে গিয়েছিলেন।
সভার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাদ্যমন্ত্রী দাবি করে বলেন, রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র বহনে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। অবশ্যই তার তদন্ত ও বিচার হবে।
পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্তির এক দিন আগেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে নামবে না বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটনার কোনো ক্ষমতা নেই বিএনপির।
জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মাদকবিরোধী সচেতনতা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান। এতে অংশ নেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।