ঢাবির ছাত্রী হলে ছাত্রলীগের মারামারি
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদদের গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় গ্রুপের ১০-১২ জন ছাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
হল সূত্র জানায় হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নিপা’র হলে নিয়ম ভেঙ্গে যাতায়াত এবং অপরদিকে হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিশুরিকে হলে আসতে না দেয়ার বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করেন হলের গৃহশিক্ষিকা সীমা ইসলাম।
এ সময় হল প্রভোস্ট সাবেক সভাপতির ও সীমা ইসলাম সাবেক সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ নেন। প্রভোস্টের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করায় বুধবার রাতেই সীমা ইসলামকে বহিষ্কার করেন হলের প্রভোস্ট।
অপরদিকে হল শাখার বর্তমান সভাপতি খাদিজা হল শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিশুরীর পক্ষে ও সাধারণ সম্পাদক নাবিলা সাবেক সভাপতি নিপার পক্ষে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে খাদিজা অনুসারীরা সীমা ইসলামের বহিষ্কার প্রত্যাহার ও প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এতে সাধারণ সম্পাদক নাবিলার অনুসারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন সভাপতি খাদিজার অনুসারীরা। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০-১২ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পরে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, প্রক্টর আমজাদ আলী, সহকারী প্রক্টর আফতাব আলী শেখ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চলে যান।
তারা যাবার পর সেখানকার পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়। এ প্রতিবেদন লিখা সময়ে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে ফোন করা হলে তারা ফোন রিসিভি করেননি।
এ সম্পর্কে জানতে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান কল করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একটা মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলী বলেন, ‘বেগম ফজিলাতুন্নোসা মুজিব হলের মেয়েদের মধ্যে সামন্য ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’