পাচারের অভিযোগে কলকাতায় ৩ বাংলাদেশী নারী গ্রেফতার
কলকাতা: কলকাতায় ভালো চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে পাচারের সময় তিন বাংলাদেশী নারীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। গত রোববার গেদে স্টেশন থেকে ওই তিন নারী ও ভারতীয় তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকা মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গ্রেফতারকৃত তিন বাংলাদেশীর পুরো পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও নওগাঁর ওই তিন কিশোরী ৭০০ টাকা বেতনে কুষ্টিয়ায় একটি তাঁতের কারখানায় কাজ করতেন। ঝিনাইদহের বাসিন্দা সাহাবুল মণ্ডল ও জয়নাল মণ্ডল ওই তিন কিশোরীকে কলকাতায় বিউটি পার্লারে মোটা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখায়।
রোববার তারা সীমান্তও পার করে দেয়। ইছামতী পার করে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছিল ওই দুই যুবকই। কিন্তু ভুল ভাঙে এ পারে এসে। ওই তিন কিশোরীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল যাদের, ওই তিন যুবক নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা মাওয়ার মণ্ডল, তোতোন মালিথ্যা ও শান্তি মণ্ডলের কথাবার্তাতে সন্দেহ হয় তিন কিশোরীর। তারা বুঝতে পারেন, কাজ নয়, ভিন দেশে এসে খপ্পরে পড়েছেন তারা।
বগুলা স্টেশনে এক মহিলার কাছে গিয়ে নিজেদের বিপদের কথা খুলে বলেন তারা। ওই মহিলার পরামর্শে তারা বগুলা থেকে গেদেগামী ট্রেনে উঠে পড়ে। সেই ট্রেনেও পিছু ধাওয়া করে ওই তিন যুবকও। গেদে স্টেশনে নেমে তিন বাংলাদেশি কিশোরী কয়েকজনকে বাংলাদেশে যাওয়ার রাস্তাও জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু ততক্ষণে ওই যুবকরাও পৌঁছে যায় তাদের কাছে। স্টেশন চত্বরেই শুরু হয় বাক-বিতণ্ডা। গোলমাল শুনে সন্দেহ হয় অভিবাসন বিভাগের কর্মীদের। ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
ওই কিশোরীরা পুলিশকে পুরো ঘটনা জানাতেই খবর দেয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। এর পর পুলিশ গিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে কোনো নারী পাচার চক্রের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ