জামায়াত ছাড়া বিএনপি অচল: হাছান মাহমুদ
ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ককে মাছ ও পানির সম্পর্কের সঙ্গে তুলনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচতে পারে না তেমনি জামায়াত ছাড়া বিএনপি চলতেও পারবে না, বাঁচতেও পারবে না।”
শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির জামায়াতের সঙ্গ ছাড়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “তারা একটি কৌশল নিয়েছিল। গতকাল (শুক্রবার) নীলফামারীতে মির্জা ফখরুল বলেছেন ‘জামায়াত বিএনপি জোটে ছিল, আছে, থাকবে।’ এছাড়া তাদের দলের আরেক নেতাও বলেছেন ‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ভোটের।’ এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ‘জামায়াতের জন্যে বিএনপি ভোটে আসছে না’। বিএনপি তাদের এসব বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কথা স্বীকার করে নিযেছেন।”
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, “আপনরা ভদ্রতার কথা বলছেন। আপনাদের কাছ থেকে ভদ্রতা শিখতে হবে না। অন্যের সমালোচনা না করে আয়নায় নিজের চেহারা দেখুন।”
বিএনপির নেত্রী বেগম খালদা জিয়া পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করেন দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “যারা মাসোহারা পরাজিত বাহিনীর কাছ থেকে মাসোহারা গ্রহণ করতে পারেন তারা সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করবেন-সেটাই স্বাভাবিক। পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ীই তারা এই কটাক্ষ করেছেন।”
বিএনপি নির্বাচনী ট্রেন মিস করে অসংলগ্ন কথা-বার্তা বলেছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “বিএনপি স্বীকার করেছে তারা ইচ্ছে করেই নির্বাচনী ট্রেনে ওঠেনি। কিন্তু এখন তারা নির্বাচনী আন্তঃনগর ট্রেন (জাতীয় নির্বাচন) মিস করে লোকাল ট্রেনে (উপজেলা নির্বাচন) ওঠার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এর আগে এই নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার তারা সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের এই বোধোদয়ের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
এসময় নির্বাচনের আগে পরে সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপিকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, তথ্য ও গবেষাণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদিকা ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ