শাস্তির পথে সাকিব, তবে দেড় বছর না ৫ বছর
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘটনাটি ২০১৮ সালের। ওই সময়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। একই বছরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেছিলেন এই শীর্ষ অলরাউন্ডার। দুই আসরেই জুয়াড়িদের কাছ থেকে আসা প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন সাকিব আল হাসান। (নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচ উল্লেখ করেনি আইসিসি)
কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) বিষয়টি না জানানোয় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সত্য হলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে এই অলরাউন্ডারকে।
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা অনুযায়ী, কোনও জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক কোনও প্রস্তাব পেলে যতো দ্রুত সম্ভব আইসিসি বা সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হয়। এ ব্যাপারে প্রতিটি সিরিজ ও টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের ক্লাস নেওয়া হয়।
এরপরও কেউ জুয়াড়িদের প্রস্তাবের কথা না জানালে গুরুতর অপরাধ হিসেবে সেটা গণ্য হবে। শাস্তিও তাই গুরুতর। আইসিসির এই ধারা ভঙ্গের শাস্তি হতে পারে দেড় বছর থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা। তবে সাকিব কোন শাস্তি ভোগ করতে যাচ্ছেন তা নিয়ে চারদিকে তোলপাড়। বিসিবি আনুষ্ঠানিক কিছু না জানালেও তারা আইসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আইসিসির নিয়ম উল্লেখ করে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা আইসিসির তদন্ত দল আকসু স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকে। তদন্ত চলার সময় সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বললেও খুব প্রয়োজন না হলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে তারা জানায় না। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে আইসিসি বিষয়টা পাঠায় তাদের আইনি বিভাগকে। আইন বিভাগের সিদ্ধান্ত জানার পরই আইসিসি অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে ধারা অনুযায়ী শাস্তি দিয়ে থাকে এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে তারা জানায়। শাস্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর আইসিসি সবাইকে জানিয়ে দেয়।
প্রধান নির্বাহী আরো জানান, আইসিসি থেকে শাস্তি নির্ধারণের পর ওই খেলোয়াড়ের সামনে দুটি পথ খোলা থাকে। হয় মেনে নেওয়া না হয় আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটা।