করাচি স্টেডিয়াম অন্ধকারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা
স্পোর্টস ডেস্ক : হাজারো সমস্যা অতিক্রমের পর শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে বেজেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দামামা। দীর্ঘ ১০ বছর পর করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গড়িয়েছে পাকিস্তান – শ্রীলংকা ম্যাচ। অবশ্য তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টির তোড়ে ভেসে যায়। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিগণিত হয় উদ্বোধনী ম্যাচে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়ায় এর খেলা। তাতে ঘটে নিদারুণ বিভ্রাট। ম্যাচের মধ্যে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ফ্ল্যাড লাইট। তাও আবার একবার নয়, দুদু’বার। প্রায় আধাঘণ্টা বন্ধ থাকে ম্যাচ। ছয়টি ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মাঠে আলোও কমে যায়।
আলো-আঁধারির মাঝে মাঠের মধ্যেই বসে থাকতে দেখা যায় পাকিস্তান ক্রিকেটারদের। এর পরই শুরু হয় পাক ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) ট্রোল করা। খারাপ ব্যবস্থাপনার জন্য যে যার মতো করে তাদের ধুঁয়ে দেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা।
একজন বলেই ফেলেন, পাকস্তান ক্রিকেট বোর্ড মনে হয় বিদ্যুতের বিল মেটায়নি। এরকম নানা টুইটে ভরে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। একনজরে দেখে নিন ভক্তদের সেই সব কৌতূকময় মন্তব্য-
পরাগ সোনা লেখেন, পাক বনাম এসএল ম্যাচে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। পাকিস্তান বিল মেটাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকা তা পরিশোধ করায় খেলা গড়িয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি বিপর্যয়ের সরাসরি সম্প্রচার।
প্রিয়ান্স চন্দ্র লেখেন, দীর্ঘশ্বাস! জয়াসুরিয়াকে অভিষেক সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত করেছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
সার্কাস্টিক ডিউড গ্রুপ লিখেছে, পিসিবি কী গলির ক্রিকেট আয়োজন করছে? করাচিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
ফারহান মালিক লিখেছেন, ফ্ল্যাড লাইটের একটি টাওয়ার উপড়ে যাওয়ায় পাক বনাম লংকা ম্যাচ বন্ধ।
২০০৯ সালে লাহোরে টিম শ্রীলংকার ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর পরই পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসনে যায়। সেখানে সফরে যায় না টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো। অবশেষে সন্ত্রাসকবলিত দেশটির মাটিতে পা রাখলেন লংকানরা।
আতঙ্কে তাদের ১০ খেলোয়াড় এ সিরিজ থেকে নাম তুলে নিয়েছে। সেই তালিকায় আছেন লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দিনেশ চান্দিমাল, থিসারা পেরেরারা।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৬৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। নিঃসন্দেহে পাক ক্রিকেটের জন্য এটি ভালো খবর। বাবর আজমের সেঞ্চুরি এবং উসমান শিনওয়ারির ৫ উইকেট শিকারের বদৌলতে দুর্দান্ত জয় পান সরফরাজরা। এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে তারা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচও হবে এ মাঠে। বুধবার ইতিমধ্যে গড়িয়েছে খেলা। দ্য ডন