শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে পেটালো ছাত্রলীগ
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে হলের মাঠে এনে আড়াইঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে পাচঁটা পর্যন্ত তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন: আরিফ (সমাজকল্যাণ, ৪র্থ বর্ষ), মেহেদী (ফিন্যান্স, ৪র্থ বর্ষ), রাজু (ব্যাংকিং, ৩য় বর্ষ) এবং ইসমাইল (আইন, ৪র্থ বর্ষ)। এদের মধ্যে ইসমাইলকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন।
আহত চার শিক্ষার্থীকে পুলিশি পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের কাছে জিহাদি বই পাওয়া গেছে এছাড়া মোবাইল শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চবিরোধী কটূক্তিমূলক খুদে বার্তা পাওয়া গেছে।
হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রলীগের হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নিজামূল হক দিদারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে হলের মাঠে নিয়ে আসে। তাদের মোবাইল সার্চ করা হয় এবং সেখানেই মারতে থাকে। দীর্ঘ ১ ঘন্টা হলের মাঠে মারার পর তাদেরকে সাধারণ সম্পাদক দিদারের রুমে নিয়ে হাত,পা, চোখ,মুখ বেঁধে রড,হকিস্টিক,বাঁশের লাঠি, স্ট্যাম্প দিয়ে মারতে থাকে। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা পর প্রক্টরিয়াল টিম এসে আহতদের উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে হলের আবাসিক শিক্ষকরা ছুটে এলে ছাত্রলীগ নেতারা আবাসিক শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করেন।
সাধারণ সম্পাদক নিজামূল হক দিদার বলেন, “তাদের কাছে জিহাদি বই এবং মোবাইলে শাহবাগ নিয়ে কটুক্তিপূর্ণ এসএমএস পাওয়া গেছে। যে কারণে তাদের মারধর করা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে প্রভোস্ট অধ্যাপক গোলাম মোহাম্মদ ভূঞার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়