বিসিবি সভাপতিকে বিদায় জানাতে খেলায় বিরতি!
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার(সিজেকেএস) আয়োজনে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে কর্পোরেট টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করতে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি।
গত সোমবার ঘণ্টা দু’য়েক চট্টগ্রামে অবস্থান করে তিনি ফিরে যাওয়ার সময় প্রায় ৮ মিনিট টুর্নামেন্টের প্রথম ইনিংসের খেলা বন্ধ রাখা হয়। এ নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আয়োজক কমিটি বলছে, পূর্ব শিডিউল অনুযায়ী এটা করা হয়েছে। এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।
সিজেকেএস সূত্র জানায়, সোমবার কর্পোরেট টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করতে পিএইচপি গ্রুপের মালিকানাধীন হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বিসিবি পরিচালক আকরাম খান, বিসিবি পরিচালক ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিন। উদ্বোধনের প্রথমদিন মুখোমুখি হয় বড়তাকিয়া গ্রুপের অজি অ্যান্ড বেনেট ইলেভেন ও বনফুল গ্রুপের বনফুল ডিয়ার।
পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী প্রথম ইনিংসের বিরতিতে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম ত্যাগ করার কথা ছিল বিসিবি সভাপতির। কিন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য প্রথম ইনিংস শুরু হতে দেরি হয়।
শিডিউল অনুযায়ী, হেলিকপ্টার মাঠে চলে আসায় প্রথম ইনিংসের ১৭ ওভারের পর আয়োজক কমিটির অনুরোধে ৮ মিনিট খেলা বন্ধ রাখেন আম্পায়ার। এসময় বিসিবি সভাপতি হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন। সঙ্গে ছিলেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেট ক্লাবের কোচ বাংলানিউজকে বলেন, বিনা কারণে খেলা বন্ধ রাখার কোন সুযোগ নেই। পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল ছাড়া যদি এটি করা হয় তাহলে এটা রুল ভায়োলেট করা হয়েছে। ইমার্জেন্সি হলে একটা কথা ছিল। উনি বিসিবি সভাপতি বলে হয়তো এ সুবিধাটা নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম আবদুল হান্নান আকবর বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দুই ইনিংসের মাঝখানে বিসিবি সভাপতি চলে যাওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করেছিলাম। এ বিষয়ে ওইদিন খেলতে নামা দুই দলের কোচ, ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারের সম্মতি নেওয়া হয়। কিন্তু খেলা আরম্ভ হতে ১০-২০ মিনিট দেরি হওয়ায় প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই হেলিকপ্টার স্টেডিয়ামে চলে আসে। তাই ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারের অনুমতি নিয়ে ১০ মিনিট বিরতি নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, কোন দলের খেলার বিঘ্ন ঘটলে বিতর্কের সুযোগ ছিল। কিন্তু এখানেতো কারো আপত্তি ছিল না। সব পক্ষের সম্মতি নিয়ে খেলার বিরতি নেওয়া হয়েছে।