বাজারভর্তি শীতের সবজি, তবুও নাভিঃশ্বাস
ঢাকা: শীতের আগমনে বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজি দেখা যাচ্ছে। তবে এখনো দামে তেমন হের-ফের হয়নি। চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে। এজন্য বিক্রেতা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, হরতাল ও পরিবহন ধর্মঘটে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়াকে দায়ী করেছেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর পাইকারী কাওরান বাজার, আরামবাগ, শান্তিনগর, সেগুন বাগিচা, হাতিরপুলের কুচরা বাজার ঘুরে শীতকালীন সবজির ঊর্ধ্বমুখী দাম দেখা গেছে।
কাওরান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন আরটিএনএন- কে বলেন, ‘হরতালের পর একটু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে গতকাল বুধবার পরিবহন ধর্মঘটে পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকায় আসতে পারেনি। এজন্য দামে তেমন প্রভাব পড়েনি।’
তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গেলে বা আগামী সপ্তাহে হরতাল-অবরোধ আসলে এখনকার দাম আরো কয়েক গুণ হতে পারে।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিছ লাউ ৬০-৬৫ টাকা, প্রতি কেজি পেঁপে ২৫ টাকা, ঢেড়স প্রতিকেজি ৭০, পটল ৪০, শালগম ৬০ এবং আলু প্রতিকেজি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি শশা ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, গাজর ৪৫ টাকা কেজি, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ফুলকপি ২০ থেকে বেড়ে ২৫ টাকা পিছ, শিম প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৯০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২৫ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর ৪৭ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারী বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের সবজি আসতে শুরু করলেও সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। সবজি কেনার সময় আমরা অনেক বেশি দামে কিনছি। এজন্য কম দামে বিক্রি করতে পারছি না।’
শান্তি বাজারে সকালে বাজার করতে আসা রমিছা বানু বলেন, ‘বাজার ঘুরলে শাক-সবজির অভাব হবে না। কিন্তু তারপরেও ব্যবসায়ীরা কোনো একটি অজুহাত দেখিয়ে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা যেন এখন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্তের সাধারন আছি সবচেয়ে কষ্টে। সবজির দাম বেশি থাকায় অনেক কিছুই না কিনে টেনেটুনে চালাতে হচ্ছে।’