স্বাধীনতা কাপের শিরোপা শেখ রাসেলের
ঢাকা: শেখ জামালকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে শেখ রাসেল। এ নিয়ে মৌসুমে দুটি শিরোপা জয় করল মারুফুল হকের শিষ্যরা।
এরআগে তারা ফেডারেশন কাপের শিরোপাও ঘরে তোলে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতায় খেলা শেষ হয়। তবে অতিরিক্ত সময়ে স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলির গোলে ৩-২ ব্যবধানের জয়ে শিরোপার উৎসবে মাতে শেখ রাসেল।
দুই ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান ও আবাহনীকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল শেখ জামাল ও শেখ রাসেল।
খেলার শুরুতে জামালের প্রাধান্য থাকলেও আস্তে আস্তে গুছিয়ে ওঠে শেখ রাসেল। তবে প্রথমার্ধে কেউই গোল পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৭ মিনিটে এমিলির ব্যাকপাসের বল ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় মিঠুন চৌধুরীর কাছে। তিনি জোরালে শটে বল জালে জড়ান। তবে ৫৩ মিনিটেই সমতায় ফেরে শেখ জামাল। সানডের শট ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার আব্বাস ইউনুসার হাতে লাগলে রেফারি হান্নান মিরণ পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
স্পট কিকে থেকে সমতায় আনে সানডে। ৭৫ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে শেখ রাসেল। বক্সে রায়হানের থ্রু বুক দিয়ে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন আবাস ইনুসা। এর তিন মিনিট পরই ব্লুজদের সমতায় ফেরান হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড সনি নরদে। বক্সে কঠিন কৌনিক দূরত্ব থেকে গোল করেন তিনি।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে গোল পায়নি কেউই। তবে ২১ মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। মামুনুলের ফ্রি-কিকে দুর্দান্ত হেডে দলকে জয়সূচক গোলটি উপহার দেন এমিলি (৩-২)।
দুর্দান্ত এই গোলের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন এই স্ট্রাইকার। অন্যদিকে টুর্নামেন্ট সেরা বিবেচিত হয়েছেন শেখ রাসেলের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড সনি নরদে।
অপরদিকে গ্রুপ পর্বে সাত গোল করে আলো ছড়ানো শেখ জামাল স্ট্রাইকার আলফ্রেড প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতেন। আবাহনী পেয়েছে ফেয়ার প্লে ট্রফি।