১ ডিসেম্বর নতুন মজুরি কার্যকর: শ্রমমন্ত্রী
ঢাকা: তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী রাজিউদিন রাজু। একই সঙ্গে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাবেন পোশাকশ্রমিকরা। শুক্রবার থেকে কাজে যোগদানের জন্য শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পোশাকশিল্পের অস্থিরতা বন্ধে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে শ্রমমন্ত্রীর এক জরুরি বৈঠকে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বৈঠকে মিকাইল শিপার জানান, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপে পোশাকশিল্পের মালিকরা মজুরি বোর্ডের সুপারিশ মেনে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পোশাকশিল্পের মালিক নেতাদের বলেছেন, তাদের যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো তিনি দেখবেন। তারা যেন পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি মেনে নেন।
মন্ত্রী বলেন, মজুরি বোর্ড কয়েক দফা বৈঠক করে মজুরির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসে। শ্রমিকরা ন্যূনতম আট হাজার টাকা মজুরির দাবি তোলে। আর মালিকপক্ষ চার হাজার ২০০ টাকার বেশি রাজি হচ্ছিল না। প্রস্তাবিত পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা ন্যূনতম মজুরির মধ্যে মূল বেতন ধরা হয়েছে তিন হাজার ২০০ টাকা।
মন্ত্রী শ্রমিকনেতাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা এখন থেকে কাজ শুরু করেন। নতুন করে কোনো ষড়যন্ত্র যেন না হয়। কেউ যদি কিছু করেন, তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মালিকরাও যদি করে, তাহলে তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না।” শ্রম আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন, বাংলাদেশ স্বাধীন গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস দর্জি শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, জাতীয় গার্মেন্টস কল্যাণ ফেডারেশন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ, জাতীয় গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদ, গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক ফোরামের প্রতিনিধিরা।
ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার এই জরুরি বৈঠক ডাকেন কর্মসংস্থানমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজু। বৈঠকে ৫৫টি শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের ডাকা হলেও তাতে অধিকাংশ সংগঠন যোগ দেয়নি। বৃহস্পতিবারের এই বৈঠকের বিষয়ে অনেক সংগঠন কিছু জানে না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাহানারা বেগম নতুন বার্তাকে বলেন, এখন পর্যন্ত অনেক সংগঠন জানে না বৈঠকের কথা।