ভিয়েতনামে আঘাত হানলো হাইয়ান
ঢাকা: ফিলিপাইনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এবার ভিয়েতনাম উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণীঝড় হাইয়ান। এর ফেলে দেশটিতে ভূমিধসের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
গত শুক্রবার এই ঘূর্ণীঝড়ের আঘাতে ফিলিপাইনের উপকূলীয় অঞ্চলে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।এখন পর্যন্ত পৃথিবীর মাটিতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। এর ঘণ্টাপ্রতি ১৯০ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতিবেগের বাতাস এতটাই শক্তিশালী যে, তা যে কোনো আশ্রয়কেন্দ্রকেও উড়িয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম বলে সাবধান করা হয়েছিল।
ভিয়েতনামের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে হাইয়ান গ্রীস্মমণ্ডলীয় ঝড় হিসেবে উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কুয়াঙ নিনহতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এই ঝড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে সড়ে যাচ্ছে
এ ঘটনায় ভিয়েতনামে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সোমবার ভোরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে ভিয়েতনামে উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে হাইয়ান। এসময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এই প্রলয়ংকরী জলদানবের হাত থেকে বিপদ এড়াতে এরইমধ্যে দেশটির উপকূলবর্তী ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে গত শুক্রবার সংগঠিত হাইয়ানের ধ্বংসযজ্ঞ সরাতে এখনো লড়ছে ফিলিপাইন। দেশটিতে অবিশ্রান্ত গতীতে চলছে ত্রান ও উদ্ধার কার্যক্রম।
হাইয়ানের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘর-বাড়ি, স্কুল ও তাকলোবান শহরের ক্ষতিগ্রস্থ বিমানবন্দর পুর্ণগঠনে কাজ শুরু হয়েছে।
তবে উপদ্রুত লেইতি প্রদেশের অনেক স্থানে এখনো নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং বিদ্যুৎ। এখনো অনেক স্থান ডুবে রয়েছে বন্যার পানিতে।
ত্রান কার্যক্রম চালাতে দেশটির সেনাবাহিনীর হাজার হাজার জওয়ান উপদ্রুত অঞ্চলে কাজ করছে। মিলিটারি কার্গো বিমানগুলো আকাশ থেকে বিভিন্ন খাদ্য সাহায্য ফেলছে।