কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমল বিষয়ে আদেশ ১৪ নভেম্বর
ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো. কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেয়া অভিযোগ আমলে নেয়ার বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
গতকাল প্রসিকিউশন জাতীয় পার্টির সাবেক এই নেতার বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন।
প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, একাত্তরে হবিগঞ্জের কায়সার বাহিনীর প্রধান সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ সুবিন্যস্থ করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগে চূড়ান্ত করে প্রসিকিউশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। তার মধ্য থেকে যাচাই বাছাই করে দুটি অভিযোগ বৃদ্ধি করে আজকে অভিযোগ দাখিল করা হলো।
এ মামলায় ৭০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। গত ৩০ জুলাই কায়সারকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল-২।
মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন আসামিদের মধ্যে কায়সার দ্বিতীয় আসামি যাকে জামিনে রেখে বিচার কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
এর আগে গত ২২ মে ট্রাইব্যুনাল-২ সৈয়দ মো. কায়সারের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
গত ১৫ মে বুধবার কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২১ মে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে চারটায় কায়সারকে রাজধানী অ্যাপলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতারের করে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
সৈয়দ মো. কায়সারের পরিচয়ে বলা হয়েছে, তার পিতা সৈয়দ সঈদউদ্দিন ১৯৬২ সালে সিলেট-৭ আসন থেকে কনভেনশন মুসলিম লীগের এমএনএ নির্বাচিত হয়। সৈয়দ কায়সার ১৯৭১ সালে তিনি দখলদার পাকিস্তান আর্মির দোসর হিসেবে তাদের পক্ষে অবস্থান নেয়। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে তিনি আত্মগোপন করেন বলে অভিযোগে বলা হয়