হরতালেও মামলার কার্যক্রম চলবে: ট্রাইব্যুনাল
ঢাকা: হরতালের কারণে মামলার কার্যক্রম মুলতুবি করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
রোববার আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী তামিম জামায়াত নেতা একেএম ইউসুফের মামলার কার্যক্রম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতুবি রাখার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল এ মন্তব্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুর হাসান বলেন, “হরতাল তো আপনারাই দেন। হরতালের কারণে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ হবে না সোজা কথা।”
এ সময় আইনজীবী জিজ্ঞেস করেন, আমরা কিভাবে হরতাল দিই।
চেয়ারম্যান বলেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব আপনাদের আইনজীবী।
আইনজীবী বলেন, জ্বি।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, উনি (ব্যারিস্টার রাজ্জাক) জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। জামায়াত বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ। সুতরাং বিএনপি হরতাল দেয়া মানে আপনারাই দিয়েছেন।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল জোর দিয়ে বলেন, “রিকশায় করে আসবেন। রিকশায় এলে কোনো সমস্যা হবে না। গাড়িতে করে এলে ভয় থাকতে পারে।”
আগামী পরশু অবশ্যই এ মামলা চলবে এই বলে আজকের কার্যক্রম মুলতুবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিক জামায়াত নেতা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে আজ জবানবন্দিতে দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউসুফ আলী (৭৬)।
সাক্ষী বলেন, একাত্তর সালের ৭ জুলাই রায়েন্দা বাজার এলাকায় ক্যাপ্টেন আনোয়ার, আজমত আলী মুন্সি ও ইসমাইলকে ধরে নিয়ে মাওলানা সাহেবের নির্দেশে গুলি করে হত্যা করে।
এ ছাড়া ৯ জুন তারিখে মাওলানা সাহেবের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী তাফালবাড়ী বাজারে যায় এবং সেখানে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল ফকির এবং বাসারাত খানকে আটক করে গুলি করে হত্যা করে।
তিনি বলেন, আমি স্থানীয় লোকদের কাছে শুনেছি, একাত্তর সালের ১৯ জুলাই ইউসুফ লঞ্চযোগে রায়েন্দা বাজারে এসে রাজাকারদের নিয়ে বৈঠক করছিল। এমন সময় সালাম খান নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা রাজাপুর থেকে রায়েন্দা বাজারের দিকে আসছিল। তাকে দেখে রাজাকাররা তাকে ধরে গুলি করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
এর আগে ইউসুফের বিরুদ্ধে তিন জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের আসামিপক্ষ জেরাও করেছেন।