adv
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমবার পদত্যাগে যাচ্ছেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা!

zvavfgre-ost20131111001650ঢাকা: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগ করছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষে রোববার আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী মনোনয়নপত্র কিনেছেন।



সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর একাধিক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। এদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। 



রোববার সচিবালয়ে সরকারে দু’জন মন্ত্রী পদত্যাগের আভাস দিয়েছেন। বাকিরাও পদত্যাগ প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্তে আছেন।



সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদের (২৪ জানুয়ারি) মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগ করে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন সরকার। সেখানে থাকবে একটি স্বপ্ল পরিসরের মন্ত্রিসভা। আর ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঘোষণা দিয়েছেন, তার অধীনেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।



প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৪ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছেন। ১৭ নভেম্বর তিনি দেশে ফেরার পর সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হতে পারে। ১৪ নভেম্বরের আগেই পদত্যাগপত্র জমা দেবেন মন্ত্রী-এমপিরা। আর সেখানে জামায়াত ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। 



রোববার সচিবালয়ে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, রোববার যদি তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। তবে, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।



পদত্যাগের আভাস দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফছারুল আমীনও। তিনি রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকালের (সোমবার) মধ্যে পদত্যাগ করতে পারি। 



নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।



এর আগে মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য পদত্যাগের কথা জানিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠনের আভাস দিয়েছেন। 



গত ৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, বর্তমান মন্ত্রিসসভার প্রত্যেক সদস্যকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনিও পরের দিন পদত্যাগ করার কথা থাকলেও করেননি।



মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই পদত্যাগপত্র দেবেন বলে জানান সুরঞ্জিত।



এদিকে, নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনের মধ্যেই নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের পথে এগুচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।



প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেতাকে সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতাকে ফোন করলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি। 



সর্বদলীয় সরকারের এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিরোধী নেতারা বলেছেন, সর্বদলীয় সরকার কিংবা এই ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেবে না তারা।



সুরঞ্জিতের আগে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, রোববারের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। তবে, রোববার তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।



মন্ত্রীদের পদত্যাগে মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হবে না জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেছিলেন, এটা  মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন। পুনর্গঠিত মন্ত্রিসভার আকারের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি ছোট এবং শক্তিশালী মন্ত্রিসভা হবে। বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্য ও মতামত এলেই চূড়ান্ত হবে, এই মন্ত্রিসভা কত সদস্যবিশিষ্ট হবে।



প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রণালয় চান, তা জানাতে বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানান সুরঞ্জিত।



নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে কোনো সংসদ সদস্য কোনো ধরনের সরকারি সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না বলেও বিরোধী দলকে আশ্বস্ত করেন অভিজ্ঞ এই সংসদ সদস্য।



৫ নভেম্বর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।



তিনি বলেন, মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর যারা সর্বদলীয় সরকারে থাকবেন, তাদের আর নতুন করে শপথের প্রয়োজন হবে না। আর যারা থাকবেন না তাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে চলে যাবে।



নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে বা চতুর্থ সপ্তাহের শুরুতে এই ‘সর্বদলীয় সরকার’ গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি। 



অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর আগে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৭ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে আসার পরই নির্বাচনকালীন ‘অন্তর্বর্তী সরকার’ গঠন করা হবে। সে হিসেবে নভেম্বরের শেষেই গঠিত হচ্ছে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার।



এদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল বেজে উঠেছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিতরণের প্রথম দিন বিক্রি হয়েছে ৬৭৮টি ফরম। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও কিনেছেন। 



এই তালিকায় আরও রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী, ত্রাণ ও দুযোর্গমন্ত্রী।



সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের পথেই হাঁটছে নির্বাচন কমিশন। চলতি নভেম্বরেই আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ
November 2013
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া