মামুনের বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ
ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের অর্থ পাচার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। ১১ নভেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ মোতাহার হোসেন এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের পক্ষের আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষের ১ থেকে ১৩ নম্বর সাক্ষীদের আবার আদালতে তলব করার আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন বিচারক। পরে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক গ্রহণ করে ১১ নভেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করা হয়।
গত ২৭ অক্টোবর আসামি মামুনের আইনজীবী এ বি এম খায়রুল ইসলাম লিটন আসামিপক্ষে ২৪ জন সাফাই সাক্ষীর নামের তালিকা আদালতে জমা দেন। আদালত ওই তালিকা থেকে আটজনকে তলব করলেও ৩১ আক্টোবর পাঁচজন আদালতে জবানবন্দী দেন। ২৭ আক্টোবর মামুন আত্মপক্ষ সমর্থনে ১০টি পয়েন্ট উল্লেখ করে পাঁচ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে যে পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তারা হলেন ওয়ান গ্রুপের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ওয়ান কম্পোজিট মিলস লিমিটেডের পরিচালক নাসির উদ্দিন মিঞা, পরিচালক এনামুল হক, ওয়ান টেক্সের পরিচালক আবেদ হাসান মাহমুদ ও ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক এ এইচ এম জাহাঙ্গীর। অন্য তিন সাফাই সাক্ষী ওয়ান গ্রুপের পরিচালক বাবুল কাজী, ওয়ান ডেনিম মিলস লিমিটেডের পরিচালক ইরশাদ করিম, অ্যাপেক্স গ্রুপের ফোরম্যান হারুন আর-রশিদের জন্য সময়ের আবেদন করা হয়েছিল।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মামলার রেকর্ডিং অফিসার হোসনে আরা বেগম, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট, ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আলীমুজ্জামান, গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিন, নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির চেয়ারপারসন খাদিজা ইসলাম, পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ করিম, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সৈয়দ এহসানুল হাফিজ, জেনারেল ম্যানেজার ওমর ফারুক, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম, নিবার্হী কমকর্তা বিভূতি ভূষণ, দুর্নীতি দমন কমিশনের ডেপুটি ডাইরেক্টর তাহেসুন হক। মামলার বাদী মোহাম্মদ ইব্রাহিম তদন্ত কমকর্তা হিসেবে দ্বিতীয়বার সাক্ষ্য দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্য থেকে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
২০১১ সালের ৬ জুলাই দুদক আদালতে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করে।